বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
প্রায় চার মাস পর সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাই কোর্ট— উভয় আদালতেই উঠছে নন্দীগ্রাম ভোট মামলা। সোমবার হতে পারে ওই মামলার শুনানি। মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার এই আইনি লড়াইয়ে আইনজীবীরা মনে করছেন, শীর্ষ আদালতে কী হয় তার উপরই নির্ভর করবে হাই কোর্টের শুনানি। ফলে প্রয়োজনে ফের পিছিয়ে যেতে পারে উচ্চ আদালতে শুনানি।
নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জুন মাসে প্রথম হাই কোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু ওই বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। পরে জুলাই মাসে মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। কিন্তু এই মামলায় বেঞ্চ বদল হওয়ায় ঘুরে বসেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই মামলার বেঞ্চবদল ঘটায় সুবিচার তিনি পাবেন বলে আশা করছেন না। কলকাতা হাই কোর্টের উপর অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁর আবেদন, কলকাতা হাই কোর্টে মমতার আবেদন এ রাজ্য ব্যতীত অন্য যে কোনও রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক। এমতাবস্থায় মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় বিচারপতি সরকার তিন মাসের জন্য হাই কোর্টে শুনানি মুলতুবি করে দেন। এই নভেম্বরে ফের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সোমবার হাই কোর্টে উঠছে নন্দীগ্রাম মামলাটি।
কিন্তু তাতেও তৈরি হল জট। কারণ, এত দিনে মামলাটির কোনও অগ্রগতি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে। ঘটনাচক্রে, সেখানেও সোমবারই উঠছে মামলাটি। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চে হতে পারে নন্দীগ্রাম ভোট মামলার শুনানি। ফলে একই দিনে দু’জায়গায় শুনানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এই আইনি জট নিয়ে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, যে হেতু শীর্ষ আদালতে মামলাটি উঠছে, তাই হাই কোর্টে শুনানি না-ও হতে পারে। তবে সোমবারই জানা যাবে কোন পথে এগোবে এই মামলার ভবিষ্যৎ।