ছবি: সংগৃহীত।
কাটল না দু’টো দিনও। দেড় দিনের মাথায়, মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সোমবার।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও সোমবার বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এসেছিলেন সরকারি আইনজীবীরা। তা জানতে পেরে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় তাঁর এজলাসে মামলার শুনানি চলাকালীন মন্তব্য করেন, ‘‘প্রধান বিচারপতির কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। পরোয়া করি না সরকারি আইনজীবীদের সিদ্ধান্তের।’’ এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সে-দিন বিকেলে প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ ১১৬ জন আইনজীবী।
হাইকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রানা মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সমাধানসূত্র বেরিয়েছে। ঠিক হয়েছে, সরকারি প্যানেলভুক্ত আইনজীবীরা বুধবার থেকে ফের ওই এজলাসে মামলা লড়বেন।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বিচারপতিদের সঙ্গে আইনজীবীদের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বিবেচনা করা হয়েছে বিচারপ্রার্থীদের কথাও।
সমাধানসূত্রটি কী? রানাবাবু জানান, আইনি তর্কবিতর্ক চলতেই পারে। তবে আদালতে বিচারপতি ও সরকারি আইনজীবীরা কেউই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এমন প্রসঙ্গ উত্থাপন করবেন না। সরকারি আইনজীবীদের শুভানুধ্যায়ীরাও এই সমাধানসূত্র বার করতে সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, একতরফা ওই এজলাস বয়কট চালিয়ে গেলে তা সরকার বা প্রশাসনের পক্ষে যাবে না বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। সেই জন্যই চাপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।