কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে বিমানে থাকা ৩৭ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবারই প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে রাজ্যে। ওমিক্রনে সংক্রমিত ৭ বছরের ওই বালক ও তাঁর মাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডের ‘আইসোলেশন রুম’-এ ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই বালকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীলই রয়েছে বলে জানালেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, বালকের বাবা ও ১১ বছরের দিদিকেও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এ ছাড়া বিমান-সহ শেষ তিন দিনে আক্রান্ত বালকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তা-ও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অজয় জানান, গত ১২ ডিসেম্বর মালদহের একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে ওই বালক ও তাঁর বোনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। পরে সাত বছরের ওই বালকের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়তেই তার মা, বাবা, ঠাকুমার কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদেরও জিন পরীক্ষা করা হবে। আপাতত তাঁদের নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে ওই বিমানে থাকা ৩৭ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতর। অজয় জানান, ওই ৩৭ জনের মধ্যে অন্তত ২৭ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। তাঁদের নিভৃতবাসে থাকতে এবং অষ্টম দিনের মাথায় কোভিড পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জন পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। চার জন হায়দরাবাদ, এক জন বেঙ্গালুরু, তিন জন মণিপুর, এক জন মেঘালয় ও এক মিজোরামের। বাকি ১০ জন যাত্রীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।