স্কুলে মিড-ডে মিল নিয়ে সোশ্যাল অডিট বা সামাজিক সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের জন্য পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ সাকুল্যে পাঁচ টাকা ৪৫ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে আট টাকা ১৭ পয়সা। এই যৎসামান্য বরাদ্দে দুপুরে ছাত্রছাত্রীদের পাতে কতটুকু কী দেওয়া সম্ভব, শিক্ষকদের সেই প্রশ্নের মধ্যেই আজ, শুক্রবার স্কুলে মিড-ডে মিল নিয়ে সোশ্যাল অডিট বা সামাজিক সমীক্ষা শুরু হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা স্কুলে গিয়ে সমীক্ষা করবেন, কথা বলবেন পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে, খাবারের মান যাচাই করবেন। শিক্ষক শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, এই ধরনের সমীক্ষায় পড়ুয়াদের আদৌ লাভ হবে কি? তাঁরা জানাচ্ছেন, সর্বাগ্রে দরকার বরাদ্দ বাড়ানো। নইলে এই ধরনের সমীক্ষার রিপোর্ট খাতায়-কলমেই থেকে যাবে।
স্কুলশিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, প্রথম মাসে প্রতিটি জেলার ২০টি স্কুলে সমীক্ষা হবে। পরের ছ’মাসে রাজ্যের সব স্কুলেই যাবে সমীক্ষকদের দল। শিক্ষকদের অভিযোগ, ডিমের দাম এখন সাড়ে ছ’টাকা। সপ্তাহে দু’দিন ডিম দিতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এই টাকায় কি সেটা সম্ভব? ডালের দামও চড়া। এই অবস্থায় মিড-ডে মিলে খাবারের গুণমান ঠিক রাখা যাবে কী ভাবে?
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে: যেখানে মিড-ডে মিল রান্না হয়, তার পরিবেশ কেমন, পৃথক রান্নাঘর ও খাওয়ার ঘর আছে কি না, জলের ব্যবস্থা কেমন— সবই খতিয়ে দেখা হবে সমীক্ষায়। মিড-ডে মিল পরখ করে শিক্ষক বা শিক্ষিকারা যে-রেজিস্টার খাতায় খাবারের মান সম্পর্কে বক্তব্য লিখে রাখেন, সেটি পরীক্ষা করা হবে। যাচাই করা হবে খরচের হিসাবপত্রও।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘‘খাজনার থেকে বাজনা বেশি হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর খাবারে যে-মানের উপকরণ লাগে, এত কম টাকায় তা কি কেনা সম্ভব?’’ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হন্ডা বলেন, ‘‘গ্যাসের জন্য পৃথক বরাদ্দ দরকার।’’