ছবি পিটিআই।
ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’। সতর্ক রেল ও রাজ্য। এর মধ্যে ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরাও বাড়ি ফিরতে মরিয়া। তবে ‘আমপান’ মোকাবিলায় ইস্টকোস্ট রুটে ট্রেন চলাচল বাতিল করেছে রেল। ফলে, ওড়িশা হয়ে কোনও ট্রেন খড়্গপুর আসবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবশ্য পশ্চিম রেল থেকে পর-পর ট্রেনে খড়্গপুর হয়ে রাজ্যে ঢুকছে শ্রমিকেরা।
আমপানের জন্য রেল ইস্টকোস্ট জোনে ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় সোমবার বিকেলের পর থেকেই ওই রুট হয়ে খড়্গপুরে পৌঁছচ্ছে না শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। অবশ্য সোমবার সন্ধ্যা থেকে একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রেলের পশ্চিম জোন থেকে খড়্গপুরে আসছে। ওই দিন সন্ধ্যায় মুম্বই থেকে নিউ কোচবিহারগামী শ্রমিক স্পেশাল দাঁড়ায় খড়্গপুরে। ওই ট্রেন থেকে দুই মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার ৫২৯ জন শ্রমিক নামে খড়্গপুর স্টেশনে। তাঁদের মধ্যে ৩৩৪ জনই ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের। মঙ্গলবার সকালেও পশ্চিম রেলের নাগপুর থেকে মালদা টাউনগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন খড়্গপুরে দাঁড়ালে দুই মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার ১৮৯জন শ্রমিক নামেন। আবার এ দিনই সন্ধ্যায় ফের পশ্চিম রেলের আমদাবাদ থেকে হাওড়াগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন খড়্গপুরে দাঁড়ায়। খড়্গপুর রেলের সিনিয়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “আমপান সুপার সাইক্লোনের জন্য ইস্টকোস্ট রুটে ট্রেন চলাচলে সমস্যার আশঙ্কায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে ঝাড়সুগুদা থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পশ্চিম রেল থেকে খড়্গপুরে আসার পথে আমপানের প্রভাব পড়বে না ধরে নিয়ে আপাতত এই রুটে শ্রমিক স্পেশাল চালানো হচ্ছে।”
গত ১৩মে থেকে খড়্গপুর হয়ে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাতায়াত শুরু হয়েছিল। ভেলোর থেকে ইস্ট কোস্ট রেল হয়ে খড়্গপুরের হিজলিতে এসেছিল ওই ট্রেন। এর পর থেকে খড়্গপুর হয়ে হাওড়া, মালদহ, অসম-সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন গিয়েছে। এখনও রাজ্যের বাসিন্দা বহু পরিযায়ী চেন্নাই, তামিলনাডু, ওড়িশা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন। ইস্টকোস্ট রেলে নিয়ন্ত্রণের জন্য চেন্নাই-হাওড়া ও কেরল-কৃষ্ণনগর ট্রেনগুলিও বাতিল করা হচ্ছে। রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য চৌধুরী বলেন, “চেন্নাই-সহ দক্ষিণ ভারতের ২টি ট্রেন আপাতত বাতিল হয়েছে। বেঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটিকে কোন রুটে নিয়ে যাওয়া হবে সেটা দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া ঠিক থাকায় দিল্লি-ভুবনেশ্বর ট্রেনটি নির্ধারিত রুটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”