ওড়িশার দিক থেকে বেড়া দেওয়া হয়েছে রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী রাস্তায় ওড়িশার দিক থেকে বেড়া দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমানাবর্তী এলাকার বহু জায়গায় এমনটা করা হয়েছে বলে স্থানীয় স্তর থেকে দাবি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের অবশ্য দাবি, কোনও গ্রামীণ এলাকার রাস্তা সাময়িক ভাবে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে করে রাখা হতে পারে। তবে ওড়িশার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেই জানিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার সোনাকোনিয়া, বাইপাটনা, মতিবেড়ুয়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওড়িশার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তার জেরে দুই রাজ্যের বাসিন্দারাই অসুবিধায় পড়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওড়িশার স্থানীয় প্রশাসনই বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে যানবাহন তো দূরঅস্ত্, হেঁটেও ওই বেড়া পারাপার করা যাচ্ছে না। আগে ওড়িশার অনেকেই সোনাকোনিয়া এলাকায় বাজার করতে আসতেন। বেড়া থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরাও।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়্গপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক খোলা রয়েছে। তবে ওড়িশার দিক থেকে তল্লাশি চলছে। সব ধরনের গাড়ি যাতায়াত করছে। হয়তো প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রামীণ রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এটা আমাদের জানিয়ে করা উচিত ছিল। তাতে আমরা সচেতন করতে পারতাম গ্রামের লোককে। এখন চেষ্টা করছি স্থানীয়, লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর।’’
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি দেখে পশ্চিমবঙ্গের দিক দিয়ে কেউ ওড়িশার প্রবেশ করলে করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে ওড়িশা সরকার। এ রাজ্যে থেকে যাঁরা ওড়িশা যাচ্ছেন তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল এ নিয়ে জারি করা হয় নির্দেশিকা।