—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ তাঁদের মনের জোর বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার জানালেন আর জি করের নির্যাতিতার মা।
তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ের মৃতদেহ দাহ করার তিন ঘণ্টা পরে এফআইআর হয়। এই দেরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।’’ এর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের উপর বল প্রয়োগ না করার যে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ আদালত সিবিআইকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দিতে বলেছে। তবে তা নিয়ে মা মন্তব্য করতে চাননি। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমরা যতক্ষণ বিচার না পাই, সবাই সত্যটা জানার ও বিচারের দাবিটা যেন জানিয়ে যান।’’
আর জি কর হাসপাতালে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শুনছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
এ দিনই নির্যাতিতার বাবা-মাকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সে কথা জানিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বলেছেন, আপনি হিম্মত রাখুন। আমাদের যত দূর যাওয়ার, যাব। আপনি ন্যায় বিচার পাবেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সিবিআইকেও আমরা সেই সময়ের অধ্যক্ষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ও এমএসভিপি-সহ বিভাগের সবার নামে বলেছি। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রমাণ লোপাট করাও সংবিধানে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা যাওয়ার পরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ
আমাদের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি।’’ এ কথা জানানোর সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, অধ্যক্ষ কিছু লুকনোর চেষ্টা করছিলেন। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে আসল দোষী বলে আমরা মনে করি না।’’
এই তদন্ত যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া, সেটা তাঁদের সিবিআই জানিয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন আর জি করের নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই বলেছে, আমাদের সময় দিন, ভরসা রাখুন। আমরা আস্থা রাখছি।’’