নুসরত জাহান। —ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবারই সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। সেই তলবে তিনি সাড়া দেবেন কি না, তা নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। একই সঙ্গে ইডিকেও তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানিয়েছেন বলে জানা যায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নুসরতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ফ্ল্যাট প্রতারণা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানি ছিল নিম্ন আদালতে। সেই শুনানিতে আদালতের নির্দেশ নুসরতের পক্ষে গিয়েছে বলে দাবি অভিনেত্রীর আইনজীবীর।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউডের নায়িকা নুসরতের বিরুদ্ধে সম্প্রতিই আবাসন সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই প্রতারণার ঘটনায় যে সংস্থার নাম জড়িত, নুসরত এক সময় তার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিল এই সংস্থা। বদলে তাঁদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁরা সেই ফ্ল্যাট পাননি। টাকাও ফেরত পাননি। প্রতারণার অভিযোগ জানিয়ে তাঁরা মামলা করেছিলেন আদালতে। নুসরতও সেই মামলায় একজন অভিযুক্ত। সোমবার সেই সংক্রান্ত একটি মামলারই শুনানি ছিল নিম্ন আদালতে।
মামলাটির হাজিরা থেকে রেহাই চেয়ে আবেদন করেছিলেন নুসরত। তাঁর আইনজীবী সরিতা সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘সাংসদ এবং অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর কাজের চাপের জন্য উপস্থিত হতে পারছেন না জানিয়ে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন নুসরত। উচ্চ আদালত আগেই হাজিরায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আজ নিম্ন আদালতে সেই স্থগিতাদেশ নিয়ে শুনানি ছিল। আপাতত এক্সটেনশন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর শুনানি তবে পরবর্তী শুনানিতে যদি আসতে বলা হয় তা হলে উনি আসবেন। আজ শুধু এক্সটেনশন ফাইল করা হয়েছিল!’’
যদিও প্রতারিতদের পক্ষের আইনজীবী কমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালত বলেছিল, জামিন নিতে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে নুসরতকে। অভিনেত্রী চেয়েছিলেন, ওঁকে ছাড়াই শুনানি হোক। সে বিষয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর শুনানি। তার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’
দু’পক্ষের বক্তব্যে তফাত থাকলেও, একটি বিষয় নিশ্চিত। আপাতত এই মামলায় আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে হবে না নুসরতকে। যদিও তাতে কোনওরকম স্বস্তি নেই বসিরহাটের সাংসদের। মঙ্গলবারের ইডি কাঁটা এখনও জেগে রয়েছে।