ছবি: সংগৃহীত।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে বসিরহাটের সন্দেশখালি। পরিস্থিতি দেখতে রবিবার এলাকায় যান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সেই প্রতিনিধিদলে দেখা যায়নি সদ্যজয়ী সাংসদ নুসরত জহানকে। শান্তির আবেদন জানিয়ে দলমত নির্বিশেষে নিহতদের পরিবারের জন্য অবশ্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। তেমনটাই জানিয়েছেন বসিরহাটের অভিনেত্রী-সাংসদ।
তাঁর সংসদীয় এলাকার অন্তর্ভুক্ত সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে এ দিন নুসরত বলেছেন, ‘‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকলের কাছে শান্তির আবেদন করছি।’’ শনিবারের সন্দেশখালির ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার কোনও সম্পর্ক নেই, তেমন দাবি করে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, ‘‘আমি মানবতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে। দলমত নির্বিশেষে যাঁদের আত্মীয়-পরিজনের বিয়োগ হয়েছে, তাঁদের সকলের জন্য প্রার্থনা করছি।’’
একই সঙ্গে মানবতাই সবার আগে বলে জানিয়েছেন নুসরত। তাঁর মতে, বসিরহাট ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা। তা সত্ত্বেও সেখানে মানুষ দুর্ভোগে যাতে না পড়েন, তা নিশ্চিত করা হবে।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে নুসরতের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার পরিস্থিতি অনুযায়ী কী কী করণীয়, সাংসদের জন্য পরবর্তী কালে দলীয় নেতৃত্বই তা স্থির করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
দলের একাংশের মতে, নুসরত সদ্য সাংসদ হয়েছেন। দৈনন্দিন রাজনীতির সঙ্গে এখনও সড়গড় নন। এই পরিস্থিতিতে এখনই এলাকায় গেলে কী কী করণীয়, তা বোঝা হয়তো কিছুটা সমস্যা হতো সাংসদের। সেই কারণে আপাতত তাঁকে এই প্রতিনিধিদলের বাইরে রাখা হয়েছিল বলেই দলীয় সূত্রের বক্তব্য। আবার দরের আর একটি অংশের মতে, নুসরত এলাকায় গেলে ভিড় বাড়বে। তাতে পরিস্থিতি আরও ‘বিগড়ে’ যেতে পারে। সেই কারণেও আপাতত সাংসদ না যেতেই বলা হয়েছে।
রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন নুসরত। সেখানে সন্দেশখালি থেকে ২৬,৯১২ ভোটে বিজেপির থেকে এগিয়েছিলেন তিনি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, গত ১৯ মে ভোটের দিন সন্দেশখালির একাংশে ‘উন্নয়নে’র সাক্ষী ছিলেন বাসিন্দারা!
আজ, সোমবার লোকসভার সচিবালয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে নুসরতের। তাই শনিবার তিনি দিল্লিতে গিয়েছেন। তাঁর শহরে ফেরার কথা কাল, মঙ্গলবার।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।