ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভার তুলনায় এ বারের ভোটে রাজ্যে স্পর্শকাতর এলাকার সংখ্যা বাড়ছে বলে সূত্রের খবর। বস্তুত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী এবং শাসক দলের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের দড়ি টানাটানি থাকলেও পর্যবেক্ষকদের অনেকের দাবি, কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যে বুথের সংখ্যা আগের থেকে বাড়ছে বলেই এই সংখ্যার বৃদ্ধি হচ্ছে সমান্তরাল ভাবে। ভোটে ভুয়ো খবর রুখতে তৎপর থাকার বার্তাও জেলাপ্রশাসনগুলিকে দিচ্ছে কমিশন।
সূত্রের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে স্পর্শকাতর এলাকা (পোশাকি ভাষায় হ্যামলেট) ছিল ১৭ হাজারের মতো। এ বার তা ১৮ হাজারের কিছু বেশি। এর নিরিখেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে থাকা বুথগুলিকেও স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে কমিশন। আগামী সপ্তাহে ভোটমুখী পাঁচটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (সিইও) নিয়ে বৈঠক করার কথা কমিশনের শীর্ষকর্তাদের। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা হতে পারে বলে অনুমান পর্যবেক্ষকদের। এর আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক ও দৈনিক রিপোর্ট তৈরিতে জোর দিয়েছিল কমিশন। সূত্রের দাবি, সেই সব রিপোর্ট, ২০১৬-র বিধানসভা এবং ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ঝামেলা, জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার সংখ্যা, অস্ত্র-টাকা-বেআইনি মদ উদ্ধারের মতো তথ্যের ভিত্তিতেই স্পর্শকাতর এলাকার ‘ম্যাপ’ তৈরি করেছে কমিশন।
জেলা প্রশাসনগুলির একাংশ জানাচ্ছে, আগে রাজ্যে বুথের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৯০৩টি। এ বার করোনার কারণে তা হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০। ফলে আগের তুলনায় কিছুটা বেশি সংখ্যায় বুথ ‘ক্রিটিকাল’, সেখানে নিরাপত্তার বিশেষ বন্দোবস্ত রাখা হতে পারে। স্পর্শকাতর এলাকার নকশা তৈরির সময় দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলির মতো জেলাগুলিতে বাড়তি নজর দিতে হয়েছে। রাজ্য পুলিশের কত জনকে ভোটে ব্যবহার করা যাবে, তা-ও বুঝে নেওয়া হচ্ছে। কমিশনের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে নিরাপত্তা মোতায়েন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের ধারণা।