Swasthya Bhavan

Covid wards and Safe home: বন্ধ হচ্ছে অধিকাংশ সেফ হোম, কমছে শয্যা, কোভিড চিকিৎসা নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্যের

এক একটি জেলায় একটি বা দু’টি করে কোভিড হাসপাতালের ওয়ার্ড রাখা হবে। ওই ওয়ার্ডে করোনা চিকিৎসার সবরকম পরিষেবা থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১ ১২:৫৪
Share:

সেফ হোম এবং সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলি সাধারণ রোগীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ

রাজ্যে কোভিড চিকিত্‍সার জন্য তৈরি হওয়া অধিকাংশ সেফ হোম এবং হাসপাতালের ওয়ার্ড সাময়িক ভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তাই জেলা পিছু একটি বা দু’টি কোভিড হাসপাতাল বা ওয়ার্ড ছাড়া বাকিগুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ করবে প্রশাসন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। যদিও দৈনিক সংক্রমণের হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তবে স্বাস্থ্যভবনের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। আর তা সম্ভব হয়েছে দ্রুত টিকাকরণ এবং করোনা বিধি কার্যকর করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই সেফ হোম এবং সরকারি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলিতে শয্যা কমিয়ে তা সাধারণ রোগীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।

Advertisement

মঙ্গলবার ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক একটি জেলায় একটি বা দু’টি করে কোভিড হাসপাতালের ওয়ার্ড রাখা হবে। ওই ওয়ার্ডে করোনা চিকিৎসার সবরকম পরিষেবার সুবিধা থাকবে। আপাতত বাকি ওয়ার্ডগুলিতে সাধারণ রোগীর চিকিৎসা করা যাবে। তবে কোন জেলায় কী ভাবে এই পরিকাঠামো তৈরি হবে, তা সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।

এ ছা়ড়া রাজ্যে একটি বা দু’টি সেফ হোম চালু রেখে বাকিগুলি বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেছে স্বাস্থ্যভবন। করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত অতিরিক্ত হাসপাতাল কর্মীদের স্বাভাবিক কাজে ফিরতে বলা হয়েছে।

রাজ্যে উৎসব পরবর্তী আবহে করোনা সংক্রমণ মাত্রা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। স্বাস্থ্যভবন মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রা তেমন বাড়েনি তো বটেই বরং করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তবে দেখা যাবে গত কয়েক সপ্তাহে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেকটাই কম। যে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement