Laxmi Bhandar

মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেল, নতুন আরও ৯ লক্ষ নাম

আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৮ লক্ষ ২৭ হাজার ২১ জন। এই ন’লক্ষ যুক্ত হয়ে তা দু’কোটি ছাড়িয়ে গেল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:০১
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে তা বাস্তবায়িত করেছিলেন তিনি। এ বার সেই প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা দু’কোটি ছাড়িয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে খবর, শেষ দুয়ারে সরকার শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে ন’লক্ষ মহিলা নাম নথিভুক্ত করেছেন। শীঘ্রই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যে দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল এক কোটি ৯৮ লক্ষ ২৭ হাজার ২১ জন। এই ন’লক্ষ যুক্ত হয়ে তা দু’কোটি ছাড়িয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে খবর, ন’লক্ষ স‌ংযোজনের আগে পর্যন্ত এই প্রকল্পে নবান্নের কোষাগার থেকে মাসিক খরচ হতো ১০৯০ কোটি টাকা। স‌ংযোজনের পরে আরও ৪৫ কোটি টাকা মাসিক খরচ বাড়ল রাজ্যের।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলারা মাসিক এক হাজার টাকা পান। সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলারা পান মাসিক ৫০০ টাকা করে। রাজ্য সরকার নিয়ম করেছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারে যে মহিলাদের নাম রয়েছে তাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে এমনিতেই তাঁরা বার্দ্ধক্য ভাতা পাবেন। নতুন করে তাঁদের আর নাম নথিভুক্ত করতে হবে না।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক স্তরে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন, সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পগুলিতে টাকা আটকে রাখা যাবে না। তা-ও অনেক জায়গায় নানা জটিলতার কারণে তা সব সময় সম্ভব হয় না। তবে একসঙ্গে টাকা মিটিয়ে দেয় নবান্ন। সম্প্রতি হুগলিতে অনেকের চার মাস ধরে বার্দ্ধক্য ভাতার টাকা আটকে ছিল। সেপ্টেম্বরের শেষে তাঁদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে চার মাসের টাকা একসঙ্গে ক্রেডিট হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement