—প্রতীকী ছবি
অবশেষে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের কুলার সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। কয়েক মাস ধরেই খারাপ রয়েছে অ্যানাটমি মর্গের মৃতদেহ রাখার ছ’টি কুলার। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অ্যানাটমি মর্গের জন্য নতুন ছ’টি কুলার বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
গত ১৮ অগস্ট আনন্দবাজার অনলাইন এনআরএস হাসপাতালে অ্যানাটমি বিভাগের কুলার খারাপের খবর প্রকাশ করে। মর্গের মৃত দেহ সংরক্ষণের কুলার সচল না থাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ দেহ দান বন্ধ রয়েছে ওই হাসপাতালে। অসুবিধায় পড়ছিলেন অ্যানাটমি বিভাগের পড়ুয়ারা। মর্গে নতুন কুলার এলে, আবার আগের মতো দেহদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। নতুন মৃত দেহ সংরক্ষণের কাজও আবার চালু করা যাবে বলে মত এনআরএস হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ত্রিদিব শেঠের।
কুলার খারাপ হওয়ার আগে এনআরএস হাসপাতাল থেকে বছরে ১৫ থেকে ২০টি দেহ দান করা হত। ভিন্রাজ্যেও পাঠানো হত দেহ। কিন্তু কুলার খারাপ থাকায় নতুন দেহ রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। বহু পুরনো দেহ নিয়েই কাটাছেঁড়া করতে হচ্ছিল পড়ুয়াদেরও। কিন্তু নতুন ছ’টি কুলার এলে আপাতত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। আগে এই হাসপাতালে অ্যানাটমি মর্গে ছ’টি কুলারই ছিল। ওই কুলার একে-একে খারাপ হতে থাকলে হাসপাতালের তরফ থেকে ২৪টি কুলার চাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনের কাছে। তার জন্য এক কোটি টাকারও বেশি খরচ বলে জানান এক স্বাস্থ্য কর্তা। যদিও ২৪-এর বদলে ছ’টি কুলারের আশ্বাসেই খুশি অ্যানাটমি বিভাগের চিকিৎসকরা।