এনআরসির লোগো দেওয়া সেই বিতর্কিত কার্ড। নিজস্ব চিত্র
(এনআরসি) চালুর পরে বাংলাতেও নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী এনে তা চালু হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসছেন কলকাতায়। নেতাজি ইন্ডোরে এনআরসি সংক্রান্ত আলোচনাসভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। সেই সভার আমন্ত্রণপত্রে দলের প্রতীকের এনআরসি-র লোগো থাকায় প্রশ্ন তুলল তৃণমূল, কংগ্রেসও। যদিও বিজেপির যুক্তি, এনআরসি নিয়েই আলোচনাসভা। তাই আমন্ত্রণপত্রে ওই লোগো রাখা হয়েছে।
ওই আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান ভারতের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় নাগরিক পঞ্জীকরণ (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) উপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় শ্রীযুক্ত অমিত শাহ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।’ পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির কার্যালয়েও সেই আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছে। দলীয় সূত্রে খবর, বিজেপির জেলা, মণ্ডল বুথ সভাপতিরা সভায় যাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে না। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, এ নিয়ে আতঙ্ক আরও বাড়াতেই দলের সভার আমন্ত্রণপত্রে এনআরসি-র লোগো রাখা হয়েছে। অজিতের অভিযোগ, ‘‘বিজেপি নেতারা মাঝেমধ্যেই এনআরসি করে মানুষকে তাড়ানো হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। প্রতিবাদ জানাতে আমরা রাস্তাতেও নেমেছি।’’ একই সুরে কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন খান বলেন, ‘‘অসম আর বাংলার পরিস্থিতি এক নয়। অথচ এখানে এনআরসি চালু করা হবে বলে প্রচার চলছে। মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। ফায়দা তোলার চেষ্টা চলছে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের পাল্টা বলছেন, ‘‘মানুষ আতঙ্কে নেই। তৃণমূলই ভুল বুঝিয়ে মানুষকে আতঙ্কে রাখার চক্রান্ত করছে।’’ তাঁর দাবি, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিল এনে সমস্ত বাঙালি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এখানে। ভয়ের কোনও কারণ নেই।