প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও দু’টি ভাষার অভিষেক আসন্ন। রাজবংশী ও কামতাপুরি। পাঠ্যক্রম এবং বেশ কয়েকটি পাঠ্যবই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজবংশী ও কামতাপুরি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা মাতৃভাষায় পড়াশোনার সুযোগ পাবে। রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটির এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রাক্-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাবে। দুই ভাষার পাঠ্যক্রম তৈরি সম্পূর্ণ। কুড়িটির মতো বিষয়ের পাঠ্যবই কামতাপুরি ও রাজবংশী ভাষায় ছাপা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি ‘বুক ডে’ বা বই দিবসে সেই সব বই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। বিভিন্ন মূল বই থেকে অনুবাদ করে এই সব পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত করেছে রাজবংশী এবং কামতাপুরি ভাষা অ্যাকাডেমি।”
এত দিন রাজবংশী ও কামতাপুরি ভাষার কোনও বই তো ছিলই না। ওই দুই সম্প্রদায়ের মানুষজনের জন্য তাঁদের নিজস্ব ভাষার কোনও সরকারি স্কুলও ছিল না। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজবংশী ও কামতাপুরিদের জন্য প্রায় ৩০০টি স্কুলকে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপাতত চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই তৈরি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পরবর্তী শ্রেণিগুলোর পাঠ্যবইও মিলবে ওই দুই ভাষায়।”
উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং জেলার সমতল ভাগ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের বেশ কিছু অংশে রাজবংশী ও কামতাপুরি সম্প্রদায়ের বসবাস। চলতি বছরের গোড়াতেই ওই দুই ভাষার স্কুল খোলার আশ্বাস দিয়েছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় জানিয়েছিলেন, রাজবংশী ও কামতাপুরি ভাষার মধ্যে মিল অনেক। রাজবংশী ভাষায় পাঠ্যক্রম তৈরি হয়ে গিয়েছে। অন্যান্য ভাষার সঙ্গে এই ভাষাতেও পঠনপাঠন চলবে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্কুলশিক্ষা দফতর এই পাঠ্যক্রম তৈরি করবে। কামতাপুরিরাও তাঁদের ভাষায় পঠনপাঠন চালু করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এক বছরের মধ্যে দুই ভাষারই স্কুল চালু হয়ে যাবে।