—প্রতীকী ছবি।
মাদ্রাসা পর্ষদের টেট বা শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বিএড পড়ুয়াদের অংশগ্রহণের বাধা কাটিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মাদ্রাসা পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে শুক্রবার, একই দিনে দু’টি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একটি মামলায় তাঁর নির্দেশ, বিএড-সহ শিক্ষণ প্রশিক্ষণের যে-কোনও পাঠ্যক্রমের পড়ুয়ারা মাদ্রাসা পর্ষদ আয়োজিত আসন্ন টেট বা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এই নির্দেশ প্রাথমিক ভাবে মামলাকারীদের ক্ষেত্রে বলবৎ হবে। তবে বিচারপতি বলেছেন, মাদ্রাসা পর্ষদ প্রয়োজনে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মামলার আবেদনকারী ছাড়াও সমপর্যায়ের অন্য প্রার্থীদেরও সমান সুযোগ দিতে পারে।
অন্য মামলায় বিচারপতি বসুর নির্দেশ, বিএড (স্পেশাল এডুকেশন) পাশ করা প্রার্থীদের বিএড ডিগ্রিধারীদের সমতুল হিসেবে গণ্য করতে হবে। মাদ্রাসা পর্ষদের টেটে বিএড বা অন্যান্য শিক্ষণ প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রমের পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল না। তা নিয়ে মামলা হয়। মামলকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কোর্টে জানান, এনসিটিই বা জাতীয় শিক্ষণ প্রশিক্ষণ সংসদের নিয়মবিধি অনুযায়ী শিক্ষণ পাঠ্যক্রমের পড়ুয়ারা টেটে বসার যোগ্য।যদিও মাদ্রাসা পর্ষদের আইনজীবী সেই যুক্তি মানতে চাননি। সওয়াল-জবাবের পরে বিচারপতি মামলাকারীদের টেটে বসার সুযোগ দেন। সেইসময় ফিরদৌস জানান, আরও অনেক প্রার্থী আছেন। তাঁদের সকলে আদালতে আসতে পারেননি। আদালত যেন এই বিষয়টিও বিচার-বিবেচনা করে। তার পরেই পর্ষদ সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাকিদেরও টেটে সুযোগ দিতে পারে বলে জানান বিচারপতি।
বিএড (স্পেশাল) পাশ করা প্রার্থীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এনসিটিই এবং রিহ্যাবিলেটশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সমঝোতাপত্র অনুযায়ী বিএড (স্পেশাল কোর্স)-কে সাধারণ বিএড ডিগ্রির সমতুল বলেই গণ্য করা হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা পর্ষদ সেই স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এটা নিয়মবিধির পরিপন্থী। তা শুনে তাঁদের প্রাথমিক ভাবে সুযোগ দেওয়ার কথা জানান বিচারপতি। তবে কোর্ট জানিয়েছে, ওই প্রার্থীদের চাকরির ভবিষ্যৎ মামলার রায়ের উপরে নির্ভর করবে।