ব্যারাকপুর লাটবাগানের মধ্যে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া সাজানো অফিস এসএসএফ (স্পেশ্যাল স্ট্রাইক ফোর্স) এর। বছর খানেক হল বর্ধমানের পুলিশ সুপার থেকে বদলি হয়ে এখানকার সিও (কমান্ডিং অফিসার) হয়েছেন এক সময় উত্তর ২৪ পরগণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হুসেন মির্জা। নারদ নিউজ এর স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পানীয়ের খালি গ্লাস সামনে নিয়ে, নেশাতুর গলায় রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মুকুল রায়ের খাস লোক বলে নিজেকে দাবি করছেন মির্জা। মুকুল রায়ের হয়ে টাকাও নিচ্ছেন। সে ছবি ততক্ষণে মির্জার অফিসের টিভিতে তাঁর অধস্তনেরাও দেখেছেন। তবে সব দেখেশুনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সকলেই।
এমনিতেই লাটবাগানের অন্দরে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া প্রবেশাধিকার নিয়ে কড়াকড়ি বিস্তর। এসটিএফ এর অফিসে সেই কড়াকড়ির মাত্রা আরও বেশি। শেষ দুপুরে এই ঘটনা ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পরেই কড়াকড়ি যেন একটু বেশিই বেড়ে গিয়েছে। মির্জা সাহেব এখন নেই জানিয়ে দিলেন আর্দালি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিও’র সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মতোই একগাল হেসে বললেন, ‘‘ওসব ভুয়ো। প্রযুক্তির কারসাজি। না ওই মানুষটা আমি, না কথাগুলো আমার। সব সাজানো। কোনও নেতা, মন্ত্রীর সঙ্গে এমন কোনও ঘনিষ্ঠতা নেই যে কারও হয়ে কিছু নেব। নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
আরও পড়ুন:
নারদের স্টিং অপারেশন, ঘুষ বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের ১১ শীর্ষ নেতা
‘আমার ছবি নেই তো?’ সংসদের তৃণমূল বেঞ্চে তখন চোখেমুখে টেনশন
তহেলকা স্টিং অপারেশনে সেই ১৪ মার্চ জর্জের ইস্তফা চেয়েছিলেন মমতা
এত টাকা কোথা থেকে এল? পার্থর বেফাঁস প্রশ্ন সামাল দিলেন মুকুল