মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
অতিমারির আবহে দুর্গোৎসবে ছাড়পত্র দিলেও ওই সময় সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। প্রশাসন তাই সতর্কতা-সচেতনতার কথা প্রচার করছে দফায় দফায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানান, পরিস্থিতির কারণে তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত পুজো মণ্ডপের লাগোয়া এলাকায় কোনও রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলে ভিড় সামলানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে বেড়ে যাবে সংক্রমণের আশঙ্কাও।
প্রেক্ষাগৃহ বা মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার ক্ষেত্রে আপত্তি না-থাকলেও পুজোর সময় মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে শিল্পী মহলের একাংশে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সেই বিভ্রান্তি কাটাতে এ দিন নবান্নে এক অনুষ্ঠানমঞ্চকে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ বা প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে বিধি মেনে অনুষ্ঠান করা যাবে। সহযোগিতা করবে পুলিশ ও প্রশাসন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজেরা বিধিনিষেধ মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই পুজো মণ্ডপের আশেপাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন না। এমনিতেই সেগুলিতে লোকের ভিড়ে সংক্রমণ হতে পারে। পুজোর পাশেই অনুষ্ঠান করলে সেখানেও ভিড় হবে। পুলিশ ও পুজো কমিটির পক্ষে দু’টো ভিড় সামলানো সম্ভব হবে না। তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত এই বিধি বলবৎ থাকবে।”
আরও পড়ুন: আয়ুষ মিশনের টাকা খরচে ব্যর্থ রাজ্য
আরও পড়ুন: খুলছে নর্থ ব্রুক জুটমিল
বিকল্প ব্যবস্থায় প্রেক্ষাগৃহে বা মুক্তমঞ্চে পরিস্থিতি অনুযায়ী ১০০ জনের পরিবর্তে ২০০ জনকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে শিল্পীদের অনেকেই কাজ পাচ্ছেন না। তাঁদের আশ্বস্ত করে মমতা বলেন, “মুক্তমঞ্চ ও প্রেক্ষাগৃহে ১০০ জন নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা অনুমতি দিয়েছি। জায়গা বেশি হলে এবং দূরত্ব-বিধি মানা সম্ভব হলে ২০০ জনকে নিয়েও অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: হুড খোলা দোতলা বাসে শহর ভ্রমণ
পুজোর দিনেও চাইলে হল ভাড়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠান করতে পারেন। পুলিশকেও বিষয়টা খোলা মনে দেখতে বলব। দীর্ঘদিন শিল্পীদের কাজকর্ম বন্ধ। যেখানে বিধি মেনে ১০০-২০০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠান করলে সংক্রমণ ছড়াবে না, সেখানে তা করা যেতেই পারে। শিল্পীদের চিন্তার কারণ নেই।”