এত দিনের চালু ব্যবস্থা অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ন্যূনতম ছয় শতাংশ জিপিএফে জমা হয় প্রতি মাসে। প্রতীকী ছবি।
কোপ নয়, টাকা জমা রাখার উপরে নিয়ন্ত্রণ। কমবেশি ৬৩ বছর আগেকার নিয়মবিধিতে সরকারি কর্মীদের জিপিএফ বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমা ছিল না। কিন্তু এ বার তাতে টাকা রাখার সীমা বেঁধে দিয়ে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা এখন থেকে এক আর্থিক বছরে ওই তহবিলে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। তার বেশি নয়। ওই তহবিল যারা রক্ষণাবেক্ষণ করে, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত সেই এজি বা অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের দফতর সংশ্লিষ্ট সরকারি বিধি কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে এই নির্দেশ দিয়েছে।
এত দিনের চালু ব্যবস্থা অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ন্যূনতম ছয় শতাংশ জিপিএফে জমা হয় প্রতি মাসে। জিপিএফের ১৯৬০ সালের নিয়মবিধি অনুসারে ওই তহবিলে বিনিয়োগের কোনও সীমা ছিল না। সেই নিয়মে সরকারি কর্মীরা তাঁদের বেতনের এক শতাংশ সঞ্চয় করতে পারতেন জিপিএফে। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকায় জিপিএফের বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। রাজ্য সরকারও কয়েক দিন আগে তার কর্মিবর্গের ক্ষেত্রে সেই কেন্দ্রীয় নির্দেশ প্রয়োগের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
সরকারি কর্মীরা তাঁদের জিপিএফে সঞ্চিত অর্থ সুদ-সহ পেয়ে থাকেন অবসরের পরে। কেন্ত্রীয় অর্থ মন্ত্রক তিন মাস অন্তর জিপিএফে সঞ্চিত অর্থের সুদের হার পরিবর্তন করে। বর্তমানে সেই সুদের হার ৭.১% বলে ডিওপিপিডব্লিউ বা ডিপার্টমেন্ট অব পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার সূত্রে জানানো হয়েছে।