কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ছবি: ফেসবুক থেকে
কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইন শুধু কৃষক বিরোধী নয়, তা জনস্বার্থও বিরোধী। এই আইন শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের জন্যই করেছে মোদী সরকার। এই অভিযোগ তুলে ফের কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানাল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের কৃষি আইনের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কৃষি আইন শুধু কৃষক বিরোধী নয়, তা জনসাধারণ বিরোধীও। কারণ এই আইনের মধ্যে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অত্যাবশকীয় পণ্য চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজকে আনা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন মজুতদারদের হাত শক্ত হবে। তেমনি অন্য দিকে ওইসব দ্রব্যের কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করে দাম নির্ধারিত করবেন মজুতদাররা। ফলে কৃষকরা তাঁদের যথার্থ ফসলের দাম পাবে না এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে ধনী, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্ররাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’’ কৃষকদের প্রতি বিজেপি সরকারের কোনও দায়বদ্ধতা নেই, তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে কেবল পুঁজিপতিদের প্রতি এই দাবি করে কাকলি জানান, এই আইনের ফলে কৃষি ও কৃষক পরিবারগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের জন্য কৃষকদের স্বার্থে করা স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট মানেনি মোদী সরকার। যার ফলে উপকৃত হবেন শুধুমাত্র পুঁজিপতিরা। নিজেদের স্বার্থে পুঁজিপতিরাই এই আইন তৈরি করে দিয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
কৃষি আইন নিয়ে মধ্যস্থতার জন্য মঙ্গলবার একটি কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সেই সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা না করেই ওই তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানায় কাকলি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মাথায় রেখেই মনে করি যে কৃষি ও কৃষক পরিবারের স্বার্থে ভারত সরকারের উচিত এই আইনগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া।’’ সংসদে আলোচনা ছাড়াই এই আইন আনা হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন বারাসতের সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, সংসদীয় রীতি-নীতি উপেক্ষা করে শুধুমাত্র অধ্যাদেশ এনে অগণতান্ত্রিকভাবে কৃষি আইন পাশ করেছে বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন: শিশির অধিকারীর ‘অধীনস্থ’ সভাপতি তিনি, জেলার দায়িত্ব নিয়ে সৌমেন-কথা
আরও পড়ুন: টেনশন দিলে পেনশন আটকাব, বীরভূমে বেলাগাম বিজেপি-র রাজু