ছাঙ্গু হ্রদ। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে খুলছে উত্তর সিকিমের দরজা। বুধবার সিকিম পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলির নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য লাচুং খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এখনই খোলা হচ্ছে না লাচেন ও গুরুদংমার।
তবে নির্দেশিকায় কিছু নিষেধাজ্ঞার কথাও জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমে পৌঁছতে হলে পর্যটকদের সংকলন-টং-চুংথাং সড়ক ধরেই যেতে হবে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বিকেল ৪টের পর থেকে। সিকিমের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হড়পা বানের ক্ষত থেকে এখনও সেরে উঠতে পারেনি সিকিম। দিনরাত কাজ করে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে সেনা। বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা হয়েছে লোহার সেতু তৈরি করে। কিন্তু এখনও বহু রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। সেই কারণেই উত্তর সিকিম যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কড়াকড়ি থাকছে আপাতত।
এ বিষয়ে রাজ্যের ইকো ট্যুরিজ়ম দফতরের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পর্যটকেরা ফোন করে জিজ্ঞাসবাদ করছে। উত্তর সিকিমের ক্ষেত্রে আমরা পর্যটকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে, হাতে সময় নিয়ে সিকিম ভ্রমণে আসুন। তুষারপাতের মরসুম আসতে চলেছে। কাজেই আমরা পর্যটকদের এক দিন গ্যাংটকের আশপাশে থেকে পরের দিন উত্তর সিকিম যেতে আবেদন জানাচ্ছি। এখন বহু রাস্তাঘাট তৈরি হয়নি।’’
লোনাক হ্রদের উপর মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে জলস্তর বেড়ে গিয়ে গত অক্টোবর মাসে উত্তর সিকিম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল তিস্তা নদী। ভেঙে গিয়েছিল সিকিমের চুংথাম বাঁধ। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। সিকিম যাওয়ার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পথ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (সাবেক ৩১এ জাতীয় সড়ক) বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেসে যায় বহু সেতু। তখন থেকেই উত্তর সিকিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের জন্য।