ভক্তিনগর থানা এলাকার ১৪৪ ধারা সংক্রান্ত মামলা জলপাইগুড়ি মহকুমাশাসকের আদালতের অধীনে রাখার দাবিতে সরব হলেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ওই দাবি তোলা হয়। সংস্থার কর্তাদের অভিযোগ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে ভক্তিনগর এলাকার সমস্ত মামলা জলপাইগুড়ির অধীনে রাখার কথা ঘোষণার পরে মহকুমাশাসকের অধীনে থাকা ১৪৪ ধারা সংক্রান্ত মামলা শিলিগুড়ি কমিশনারেটে পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনার প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন তাঁরা। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এদিন আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁকেও বিষয়টি জানানো হয়।
জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিনন্দন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আমরা খুশি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি মহকুমাশাসকের অধীনে থাকা ১৪৪ ধারা সংক্রান্ত মামলাগুলি শিলিগুড়ি কমিশনারেটে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।” অভিনন্দনবাবু জানান, ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি জেলা তৃণমূল সভাপতিকে জানানো হয়েছে।
আইনজীবীরা এ দিন প্রশ্ন তোলেন, ২০১২ সালে শিলিগুড়ি কমিশনারেট গঠনের কিছুদিনের মধ্যে সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এতদিন জলপাইগুড়ি মহকুমাশাসকের আদালতের একটি মামলা শিলিগুড়ি কমিশনারেটে নেওয়া হয়নি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরে মামলাগুলি সেখানে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে কেন বলে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “ঘটনাটি শোনার পরে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানান মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরে তাঁরা সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। ভক্তিনগর থানা এলাকার কোন মামলা শিলিগুড়ি কমিশনারেটে যাচ্ছে না।”