১২ জন যোগ দেয় জঙ্গি দলে, জেরায় কবুল মালখানের

হবিবপুর এলাকা থেকে আরও অন্তত দু’জনকে মায়ানমারে কেএলও-র প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। রবিবার কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহকে জেরার পরে ওই ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্য মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে মালখান কবুল করেছে, গত এক বছরে দলের ১২ জন প্রথম সারির নেতা ধরা পড়লেও আরও ১২ জন কেএলও শিবিরে নাম লিখিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৪২
Share:

হবিবপুর এলাকা থেকে আরও অন্তত দু’জনকে মায়ানমারে কেএলও-র প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। রবিবার কেএলও জঙ্গি মালখান সিংহকে জেরার পরে ওই ব্যাপারে স্পষ্ট তথ্য মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে মালখান কবুল করেছে, গত এক বছরে দলের ১২ জন প্রথম সারির নেতা ধরা পড়লেও আরও ১২ জন কেএলও শিবিরে নাম লিখিয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “মালখান সিংহে জেরা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।” মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য ও বিএসএফের গোয়েন্দারা ধৃতকে জেরা করবেন।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেএলও ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ইন চিফ শ্যাম রায় অসমের কোকরাঝাড় থেকে এখন কেএলও-র সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মালখান সিংহের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ৩০ মার্চ মালখান নেপাল থেকে বিহারের কাটিহার হয়ে মালদহে ঢুকবে। তখনই তাকে ধরার কথা বিশেষ দলের ইনচার্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহকে জানানো হয়েছিল। সে বার পালাতে গিয়ে মালখান ডান হাঁটুতে প্রচণ্ড চোট পায়। হবিবপুর, বামনগোলা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে, জঙ্গলে লুকিয়ে কাটিয়েছে বলে মালখান জানিয়েছে।

মালখান সিংহ ২৭ ডিসেম্বর হবিবপুরে বাসে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। মালখান জানিয়েছে বাসের মালিকের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। মালিককে ভয় দেখাতে চাইলেও যাত্রীকে গুলি করে মারতে চাওয়া হয়নি বলে দাবি মালখানের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement