বসুন্ধরা আবাসন এলাকায় বিতর্কিত নির্মাণ। —নিজস্ব চিত্র।
সরকারি আবাসনের জমি দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উত্তরকন্যা লাগোয়া এলাকায়। উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় ‘উত্তরকন্যা’র পেছনেই রয়েছে বসুন্ধরা আবাসন। রাজ্য হাউসিং কনস্ট্রাকশন ডিভিশনের উদ্যোগে ডাবগ্রামের স্যাটেলাইট টাউনশিপে বছর দশেক আগে বসুন্ধরা আবাসন গড়ে ওঠে। প্রকল্পে একই আয়তনের ১৪০টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও আবাসনের সীমানা পাঁচিল তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই সুযোগেই সরকারি আবাসনের জমি দখল হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আবাসনের ভিতরের মাটি খুঁড়ে নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, উত্তরকন্যার নিকাশী পরিকাঠামো তৈরির জন্যই ওই নির্মাণ হচ্ছে। সরকারি নির্মাণ হলেও, আবাসনের জমি দখল করে কাজ হওয়া অবৈধ বলে অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে বসুন্ধরা আবাসন আবাসিক কল্যাণ সমিতির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, উত্তরকন্যার পরিকাঠামো তৈরি করতেই আবাসনের জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এই নির্মাণ কাজ করছেন বলে সমিতির তরফে অভিযোগ। এ দিন সকালে অভিযোগ জানিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকের যুগ্ম সচিবকে একটি অভিযোগও জানানো হয়েছে সমিতির তরফে। সেই অভিযোগে অবশ্য সরাসরি দফতরের বিরুদ্ধে জমি দখল করা কথা না উল্লেখ্য করে, শুধু সরকারি নির্মাণের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে। তবে এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সমিতির সম্পাদক বিকি সারিয়া বলেন, “উত্তরকন্যার নিকাশী পরিকাঠামো তৈরি করতেই আবাসনের জমিতে পাঁচিল তৈরি হচ্ছে। আবাসনের জমিতে থাকা বেশ কয়েকটি বিদ্যুত্স্তম্ভেরও ক্ষতি হয়েছে। কোনরকম আলোচনা বা অনুমতি না নিয়েই ওই কাজ হচ্ছে।”
তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা দাবি করেছেন, আবাসনের জমি দখল করা হয়নি। ওই এলাকায় একটি কবরস্থান লাগোয়া এলাকায় সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। আবাসনের জমিতে কোনও নির্মাণ হচ্ছে না বলেই আধিকারিকদের দাবি। ঘটনাচক্রে এ দিন উত্তরকন্যাতেই সরকারি বৈঠক করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে আবাসনের বাসিন্দাদের নানা সুযোগ সুবিধে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “কোনও কারণে কেউ ভুল বুঝে অভিযোগ করতেই পারেন। তবে উত্তরকন্যার পরিকাঠামো সরকারি জমিতেই তৈরি হচ্ছে। ওই এলাকায় উত্তরকন্যার কোনও নির্মাণ কাজও হচ্ছে না।” ওই আবাসনের বাসিন্দাদের রাস্তা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বলে মানছেন মন্ত্রীও। মন্ত্রীর আশ্বাস, “বাসিন্দাদের চলাফেরার জন্য রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন রাস্তাও হবে।”