রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজি বাজার

শহরের উপকন্ঠে ইন্দিরা গাঁধী ময়দানে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিলিগুড়ি বাজি বাজার।’ তবে ছোট বাজির ব্যবসায়ীরা স্টলের দাম বেশি থাকায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই ছোট বাজির ব্যবসায়ীদের একাংশ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তাঁদের ‘বাজি বাজারে’ বসার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৩
Share:

শহরের উপকন্ঠে ইন্দিরা গাঁধী ময়দানে আগামী রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘শিলিগুড়ি বাজি বাজার।’ তবে ছোট বাজির ব্যবসায়ীরা স্টলের দাম বেশি থাকায় বসার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই ছোট বাজির ব্যবসায়ীদের একাংশ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তাঁদের ‘বাজি বাজারে’ বসার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ২৩ অক্টোবর, কালীপুজোর দিন অবধি ওই বাজার অস্থায়ীভাবে চলবে।

Advertisement

ছোট বাজির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গতবার ৫০০ টাকা পুলিশের তহবিলে জমা দিয়ে বাজারের বাইরে অংশে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন বহু ছোট ব্যবসায়ী। এবার এখনও সেই ব্যবস্থা করা হয়নি। কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা স্টল ভাড়া না করলে বাজি বাজারে বসার ব্যবস্থা নেই। আর ওই বাজারে বসতে না পারলে নিজেদের দোকানে বাজি বিক্রি করার ক্ষেত্রেও সমস্যা রয়েছে। কারণ, বাজির বাজার ছাড়া অন্যত্র বাজির ব্যবসা করলে পুলিশি অভিযানের মুখে পড়তে হতে পারে।

শিলিগুড়ি শহর এবং লাগোয়া এলাকার ওই ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানতে পেরেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেছেন, “পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলছি। একেবারেই ছোট ব্যবসায়ীদের বাজারে স্বল্পমূল্যে বসার কোনও ব্যবস্থা করা যান কী না তা পুলিশ কমিশনারকে দেখতে বলছি।” আর শিলিগুড়ি সহকারি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা বাজি বাজারের কমিটিই ঠিক করবে।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর থেকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে শহরের এক জায়গা বাজির বাজার শুরু হয়েছে। গতবার পুলিশ, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) অস্থায়ী বাজারের পরিকাঠামো তৈরি দেয়। পুলিশ কমিশনারেটের মাঠেই বাজারটি হয়। পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচও হয়। ১০০টি দুই ধরণের স্টলের জন্য ৬ হাজার ও ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। এবার পুলিশের তরফে বাজির ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ে নিয়ম কানুন তৈরি করে তাঁদের হাতে বাজারের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।

এবারে ১৭৫টি স্টল করা হচ্ছে। দুইশো স্কোয়ার ফুটের ৫৫টি, একশো স্কোয়ার ফুটের ৪৮টি এবং পঞ্চাশ স্কোয়ার ফুটের ৭২টি স্টল করা হচ্ছে। প্রতি স্কোয়ার ফুটের জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে ৫ হাজার টাকার নিচে কোনও স্টল পাওয়ার সুযোগ নেই। আগের বারের মত বাজারে একপাশে ছোট ব্যবসায়ীদের বসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। শহরের ক্ষুদ্র বাজি ব্যবসায়ী দীপক দুবেদি জানান, আমরা প্রতিবার লাইসেন্স এবং আগুন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ করি। তার পরে খুব বেশি হলে ১০-১৫ হাজার টাকার বাজি বিক্রি করি। তাতে ৫ হাজার টাকা স্টলের জন্য খরচ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা দরকার।

এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি, ভক্তিনগর, প্রধাননগর বাজির বিক্রেতাদের নিয়ে তৈরি কমিটির তরফে অভিজিত্‌ ঘোষ জানান, এবার সরকারি কোনও আর্থিক সাহায্য মিলছে না। স্টল, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, বিদ্যুত্‌, সাফাই-সব স্টল ভাড়ার টাকার করতে হচ্ছে। আর যা নিয়ম সব পুলিশ কমিশনার ঠিক করে দিয়েছেন। সেখান থেকে যা নির্দেশ দেবে, তাই আমরা মেনে চলব। আমরাও চাই সব ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা বাজারে আসুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement