মধ্যরাতে হাসপাতালে মারপিট, জখম যুবক

হিসেব নিয়ে গোলমালের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ভিতরেই। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় আহত হয়েছে খোকন চৌধুরী নামে এক যুবক। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দাবি, হাসপাতালে গুলি চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪২
Share:

হিসেব নিয়ে গোলমালের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ভিতরেই। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় আহত হয়েছে খোকন চৌধুরী নামে এক যুবক। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দাবি, হাসপাতালে গুলি চলেছে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “রাতে হাসপাতালে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হয়েছে। তবে গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। খোকন চৌধুরি নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একটি ট্রাকের মালিক। সন্টু পাসোয়ান নামে এক যুবক পুলিশকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি দিয়ে জানিয়েছে, সেগুলি খোকনের কাছে পাওয়া গিয়েছে। সন্টু পাসোয়ানকে জেরা চলছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ হাসপাতালের মহিলা বিভাগের কাছে ক্যান্টিনের সামনে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় আহত এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ। একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। বিরোধী গোষ্ঠীর আর এক যুবককে পুলিশ জেরা করছে। হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতাদের একাংশের মদতেই ওই দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেও অভিযোগ।

Advertisement

ঘটনায় উদ্বিগ্ন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রেজাউল মিনাজ। তিনি বলেন, “রাতে হাসপাতাল চত্বরে গুলি চলেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ার থানায় জানতে চাইলে তারা জানান, তদন্ত চলছে। হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও কোনও নিরাপত্তা নেই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখেছি।” খোকন চৌধুরী জানায়, আগে তৃণমূল করত সে। সেই সুবাদে সন্টু পাশোয়ানের সঙ্গে তার পরিচয়। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের পাশ দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্টু-সহ ১০-১২ জন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। গুলি চালানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সন্টু। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “রাতে হাসপাতালে দুষ্কৃতীরা মদের আসর বসাচ্ছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয়।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টির সঙ্গে দল বা রাজনীতির যোগাযোগ নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement