স্কুলছাত্রী দুই বোনের শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তদের হাতেই আক্রান্ত হলেন দাদা। ছুরি দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর এলাকার ওই ঘটনায় আহত যুবক আশঙ্কাজনক। মালদহ মেডিক্যাল থেকে তাঁকে কলকাতায় সরানো হয়েছে। ওই ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরেনি। জেলার এসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই যুবকের উপরে হামলায় অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে ‘মনসা-গান’-এর আসর থেকে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল অষ্টম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়া দুই বোন। অভিযোগ, গোবিন্দ মণ্ডল ও মিঠুন মণ্ডল নামে স্থানীয় দুই যুবক তাদের পথ আটকে কুপ্রস্তাব দেয়। মেয়ে দু’টি প্রতিবাদ জানালে ওই দু’জন তাদের হাত ধরে টানাটানি করে ও পোশাক ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। দুই বোনের চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে গেলে অভিযুক্তেরা পালায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দুই বোনের উপরে নির্যাতনের ঘটনাটি জানতে পেরেই বছর সাতাশের ওই যুবক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। মিঠুন ও গোবিন্দর সঙ্গে দেখা করে তাদের আচরণের প্রতিবাদ জানাতে তিনি বেরিয়ে পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে, মাঝরাস্তায় ভগবানপুর বাঁধের কাছেই অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা হয় ওই ছাত্রীদের দাদার। মিঠুন এবং গোবিন্দর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবক বোনেদের হেনস্থা করার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর উপরে ছুরি নিয়ে চড়াও হয়ে কোপাতে থাকে ওই যুবকেরা। আক্রান্তের চিৎকার শুনতে পান মনসা-গান শুনতে আসরে যাওয়া গ্রামের মানুষ। তাঁরা ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসী রক্তাক্ত ওই যুবককে কালিয়াচক হাসপাতালে নিয়ে যান। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় রাত ১টা নাগাদ তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় সরানো হয় তাঁকে। তাঁর কাকার দাবি, “স্কুলের পথে আমার দুই ভাইঝিকে প্রায় প্রতিদিনই বিরক্ত করত গোবিন্দ এবং মিঠুন। কাল ওরা আরও বাড়াবাড়ি করেছে শুনে রাগে আমার ভাইপো মাথা ঠিক রাখতে পারেনি। প্রতিবাদ জানাতে একাই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল!”