মিছিলের ভিড় দেখে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির নেতা-সমর্থকরা। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসুর দাবি, ভিড়ে ঠাসা স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আগামী দিনে শহরের মানুষ কী চাইছেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নানা অত্যাচার সত্ত্বেও যে ভাবে কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে পা মিলিয়েছেন তা অভূতপূর্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০২:৪০
Share:

শিলিগুড়িতে বিজেপি’র প্রতিবাদ মিছিল। মঙ্গলবার তোলা চিত্র।

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির নেতা-সমর্থকরা।

Advertisement

বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসুর দাবি, ভিড়ে ঠাসা স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আগামী দিনে শহরের মানুষ কী চাইছেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নানা অত্যাচার সত্ত্বেও যে ভাবে কয়েক হাজার মানুষ মিছিলে পা মিলিয়েছেন তা অভূতপূর্ব। তিনি বলেন, “পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলাম। তিনি কিছু পরামর্শ দেন। সেই মতো আমরা ডিসি সদরের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।”

এদিন বিকেলে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে মাল্লাগুড়িতে পুলিশ কমিশনারেট পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। কমিশনার তাঁর দফতরে উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির নেতারা। তাঁরা কমিশনারেটের ভিতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে অবশ্য তাঁরা বাইরেই বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

রথীনবাবু অভিযোগ করেছেন, বিজেপি করার অপরাধে বহু এলাকায় কর্মীদের মারধর, কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি সদর অংমু গ্যামসো পাল বলেন, “পুলিশ কমিশনার বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। তবু সবই কমিশনারকে জানাব।” যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল জেলা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ পাল। তিনি বলেন, “বিজেপি যাঁদের নিয়ে মিছিল করেছেন তাঁদের অনেকের নামে জমি দখল, তোলা আদায়, মারামারির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের আগে ধরা উচিত। পরে অন্যদের নামে নালিশ করুক ওঁরা।”

এদিন নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার তৃণমূল নেতা তথা আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক বিজন নন্দীর বিরুদ্ধেও মারধর ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন রথীনবাবু। তিনি অভিযোগ করেন, “বিজনবাবু লোকজন দিয়ে দলের কর্মীদের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে তাঁদের সর্মথকদের ব্যবসা করতে বাধা দিচ্ছেন। এমনকী হুমকিও দিচ্ছেন।” বিজনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “কাউকে বাধা দিইনি। কে বিজেপি করে তাও আমি জানি না। সমস্ত মিথ্যা। আইএনটিটিইউসিতে ভাঙন ধরাতে এ সব বলেছে। প্রমাণ থাকলে পুলিশকে জমা দিন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement