বৃষ্টির অভাবে ক্ষতি ফল, সব্জির চাষেও

ধান, ভুট্টা তো বটেই টানা অনাবৃষ্টিতে সব্জি, ফলের বাগানও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। ঝড়ে পড়ছে আম, লিচুর মুকুল। লেবু, আনারস, পেয়ারা ফুলও। তাপে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে কলা। বাগানের অবস্থাও খারাপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০৩:২৭
Share:

ধান, ভুট্টা তো বটেই টানা অনাবৃষ্টিতে সব্জি, ফলের বাগানও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। ঝড়ে পড়ছে আম, লিচুর মুকুল। লেবু, আনারস, পেয়ারা ফুলও। তাপে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে কলা। বাগানের অবস্থাও খারাপ। ঢেঁড়স, করলা, লঙ্কা, পটল চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায়, ফল ও সব্জি গাছে জল স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছে উদ্যান পালন দফতর। কিছু এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে চাষিদের জল স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন দফতরের অফিসারেরা।

Advertisement

জেলা আধিকারিক খুরশিদ আলম বলেন, “অনাবৃষ্টির জেরে সব্জি ও ফল দুটিতেই ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব্জি ও ফল খেতে জল স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তাতে অনেকটা ফসল রক্ষা করা যাবে।” তিনি জানান, বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের জন্য প্রায় সর্বত্র চাষিরা সেচের মাধ্যমে সঠিক ভাবে জল দিতে পারছেন না। অনেকে দ্বিগুণ টাকা খরচ করে পাম্পসেট দিয়ে জল দিচ্ছেন। কিন্তু বেশির ভাগ চাষি খরচের কারণে পাম্পসেট ব্যবহার করতে পারছেন না।

ধান, পাট, তামাকের সঙ্গে জেলায় সব্জি চাষ হয় প্রচুর। কোচবিহার সদর, মাথাভাঙা, দিনহাটা এবং তুফানগঞ্জের একটি অংশে সব্জি চাষ হয়। জেলায় শীতকালীন সব্জি হয় প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। গ্রীষ্মকালীন সব্জি হয় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। ব্যবসায়িক ভিত্তিতে লেবু, কলা, আনারস, কুল চাষ হয়। কলা চাষ হয় প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে। লেবু চাষ হয় ৩০০ হেক্টর জমিতে, আনারস চাষ হয় ১০০ হেক্টর জমিতে, ৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে আম, পেয়ারা চাষ হচ্ছে।

Advertisement

শীতলখুচির গোঁসাইয়ের হাটের বাসিন্দা পবিত্র বর্মন জানান, সাড়ে সাত বিঘা জমিতে লিচু চাষ করেছি। এবারে বৃষ্টি নেই। ফল ঝড়ে পড়া শুরু করেছে। গাছের পাতা হলদে হয়েছে। মাতালহাটের আমবাড়ির পেয়ারা চাষি সহিরুল ইসলাম বলেন, “পাঁচ একর জমিতে পেয়ারা চাষ করেছি। লো-ভোল্টেজে গাছে জল দিতে পারছি না।” জেলা পরিষদের সদস্য কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, “অনাবৃষ্টির জন্য ফসল উত্‌পাদন কম। মেশিন ও পাম্পসেটের মাধ্যমে জল দেওয়া হচ্ছে ঠিক। বেশির ভাগ চাষিরা খরচ বেড়ে যাওয়ায় তা করতে পারছেন না।” এমনি প্রতিদিন জল দিতে ২০-২২ টাকা খরচ পড়ে। সেখানে পাম্পসেট ব্যবহার করলে খরচ তিন গুণের বেশি পড়ে। বিদ্যুত্‌ বন্টন কোম্পানির এক আধিকারিক জানান, বোরো ধান চাষ-সহ গরমের বিদ্যুতের চাহিদা বেশি তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement