ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল চোপড়ায়। বুধবার তাঁকে উদ্ধার করার দাবি জানিয়ে চোপড়ার কালাগছ মোড়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। প্রায় ঘণ্টা খানেক অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কে যানজট হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই এলাকায় ব্যবসা বন্ধও করেন ব্যবসায়ীরা। এলাকার ব্যবসায়ী সমিতি সম্পাদক আবদুল হামিদ বলেন, “ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে এলাকার সমস্ত দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। দ্রুত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা না হলে বড় মাপের আন্দোলন হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে চোপড়া থানার ভহিষপিটা এলাকার পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী রথীন মজুমদার দোকানের পিছনে একটি চা বাগানে শৌচকার্য করতে যান। ফেরার সময় দোকানের পাশেই গ্রামীণ সড়কে ৬ জনের একটি দুষ্কৃতী দল রথীনবাবুকে গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এলাকার লোকেরা পুলিশকে খবর দেন। অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটি পুলিশ বিহার লাগোয়া নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “অপহরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অপহৃতের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও বিস্তারিত কথা বলছে পুলিশ।”
রথীনবাবুর বাড়ি চোপড়ার সোনাপুর দুর্গাপুরে। তিনি দাদা নৃপেন মজুমদার সঙ্গে একসঙ্গে ব্যবসা করেন। ভহিষপিটা এলাকায় তাঁদের দোকান। তাঁদের মুদির পাইকারি ব্যবসা। নৃপেনবাবু বলেন, “দোকানের পিছন থেকে ফিরছিল ভাই। হঠাত্ই এলাকার লোকেরা দেখতে পান, ওকে গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কী কারণে এমন হল তা বুঝতে পারছি না।” তবে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা সম্ভবত বিহার হয়ে নেপাল সীমান্তের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের গাড়িটি উদ্ধার করে এই সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্য সামনে এসেছে।