বিধি-ভঙ্গে অভিযুক্ত ভাইচুং

বিধি ভেঙে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়া প্রচার চালিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানাল জেলা সিপিএম। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-ভানু মঞ্চে দার্জিলিঙের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং কর্মিসভা করেন। সিপিএমের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট প্রচার চালানোয় কমিশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৪ ০৫:২০
Share:

শিলিগুড়িতে ভোটের প্রচারে দার্জিলিঙের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়া। —নিজস্ব চিত্র।

বিধি ভেঙে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়া প্রচার চালিয়েছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানাল জেলা সিপিএম। বুধবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র-ভানু মঞ্চে দার্জিলিঙের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং কর্মিসভা করেন। সিপিএমের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট প্রচার চালানোয় কমিশনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধু কর্মিসভা করে বিধিভঙ্গ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে অসংখ্য পোস্টার, ফ্লেক্সও রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানিয়েছে সিপিএম। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে তৃণমূলকে প্রচার করতে দেওয়া হল সে প্রশ্নও তুলেছেন সিপিএমের জেলা নেতারা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ কিছু আমাদের জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে।” বিশ্ববিদ্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঞ্চ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করতে হয় কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই মতো উপাচার্য অনুমতি দেন। তবে তার আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসারের কাছে মতামত চেয়ে পাঠান। আগাম অন্য কেউ ওই মঞ্চ ভাড়া করে রেখেছেন কি না। বা কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়ার পরেই উপাচার্য অনুমতি দেন। সেই মতো নির্দিষ্ট ভাড়া দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার কমল ঘোষ বলেন, “যা কিছু উপাচার্য-ই বলবেন।”

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই মঞ্চে সভা করার জন্য বৃহস্পতিবার দলের তরফে নির্বাচন কমিশনে ফ্যাক্স পাঠিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার জানিয়েছেন। জীবেশবাবু বলেন, “তৃণমূল মাঝে মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতির থেকে দূরে রাখার কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচনী বিধি ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচার চালানোর ঘটনায় তৃণমূলের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। কমিশনকে বিস্তারিত সব জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কর্মিসভা ঘিরে বির্তক তৈরি হওয়ায় সাবধান তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুংও। এ দিন তিনি বলেন, “এগুলি সাধারণত দলের নেতারাই ঠিক করেন। তাঁরা-ই বিশদে বলতে পারবেন।” তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা বলেন, “চিঠি দিয়ে প্রথা মেনে প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করা হয়েছিল। জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এখন অবান্তর অভিযোগ করছে সিপিএম।” তাঁর পাল্টা দাবি, “আগে সিপিএমও ওই হলে সভা করেছিল, আমরাও সেগুলির তথ্য কমিশনকে জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement