আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বিকালবেলায় দুধ সরবরাহ করতে উদ্যোগী হলেন হিমুল কর্তৃপক্ষ।
বেহাল আর্থিক অবস্থার জেরে জেরবার হিমুলের দু’বেলার দুধ সরবরাহ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। গত বছরে কয়েক দফায় দুধ সরবরাহ বন্ধও হয়েছে। তার পরে সরকারি অনুদানে একবেলা প্যাকেটজাত দুধ সরবরাহ হলেও বিকেলে তা মিলছে না। সংস্থা সূত্রের খবর, এরমধ্যে পাহাড়ের সরবরাহকারীদের বকেয়া প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা মেটানোর কাজ শুরু হয়েছে। তার জেরেই পাহাড় থেকে আপাতত ৪ হাজার লিটার দুধ মিলবে। সেই দুধের সঙ্গে স্থানীয় দুধ এবং বিহার থেকে আনা দুধ মিলিয়ে দু’বেলা কম হলেও দুধ দেওয়া যাবে বলে সংস্থার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।
হিমুলের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও) রচনা ভকত বলেন, “পাহাড়ের বকেয়া মেটানো হচ্ছে। তাতে সরবরাহকারীরা দুধ পাঠানোর কথা বলেছেন। আশা করছি, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকেলে দুধ চালু করা যাবে। ধাপে ধাপে পরিমাণও বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।” সিইও জানান, আপাতত সকালে ৭ হাজার লিটারের মত দুধ বাজারে যাচ্ছে। পাহাড়ের দুধ এলেই তা বেড়ে ১১ হাজার লিটার হবে। পরবর্তীতে তা ১৫ হাজার লিটার করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
সংস্থা সূত্রের খবর, পাহাড়ের ৭০ লক্ষ টাকা ছাড়াও দার্জিলিং জেলার সমতলে আরও ৭০ লক্ষ এবং বিহারে ১৬ লক্ষ টাকার মত দুধের বকেয়া ছিল। এরমধ্যে বিহার এবং পাহাড়ের বকেয়া প্রথমে মেটানো হচ্ছে। সরকারি অনুদান এলে সমতলের বকেয়া মেটানো শুরু হবে। এতে পাহাড় ও বিহারের বকেয়া অনেকটাই কমে এসেছে। তবে সংস্থার কর্মীদের বেতন এখনও সময়মত হচ্ছে না। হিমুলের কয়েকজন আধিকারিক জানান, প্রতিমাসে আগের মাসের বেতন ১৫ তারিখের পর থেকে হচ্ছে। তাতে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। এই নিয়ে সিইও-র বক্তব্য, “আমরা আর্থিক সমস্যায় রয়েছি। সরকার সাহায্য করছে। কিছুদিন তো লাগবেই সমস্যা কাটাতে। তবে প্রতিমাসের বেতন কর্মীরা পাচ্ছেন।”