শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) বহু কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক ঠিকাদার সঞ্জীব ঘোষ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। শনিবার শিলিগুড়ি অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়। এর পরেই এ দিন শিলিগুড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত এ দিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন আরেক ঠিকাদার শঙ্কর পালের আত্মীয় তথা তাঁর কারবারের অংশীদার পার্থ পাল, সিদ্ধার্থ পাল এবং সঞ্জয় পাল। ওই সমস্ত মামলার চার্জশিট এখনও পেশ করেনি পুলিশ।
বাগডোগরা, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং মহানন্দা অ্যাকশন প্ল্যানে নিকাশি তৈরির কাজে ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে জড়িত রয়েছে সঞ্জীববাবুদের কোম্পানি নিউ ইন্ডিয়া কনস্ট্রাকশন। এই সংস্থা ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর হয়ে কাজ করত। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ ইউরেকা ট্রেডার্স ব্যুরোর কর্ণধার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে দেবব্রতকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় নিউ ইন্ডিয়ার অপর দুই কর্ণধার তাপস বসুএবং অজয় মৈত্রকেও। নিউ ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্ণধার সঞ্জীববাবুকে পুলিশ খুঁজছিল। আদালত সূত্রে খবর, গত ২৪ এপ্রিল হাইকোর্টে ৪ টি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন সঞ্জীববাবু।
নানা প্রকল্পে অন্তত ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পুলিশে দায়ের করা হয় এসজেডিএ’র তরফে।
তদন্তে নেমে পুলিশ এসজেডিএ’র ৩ জন বাস্তুকার মৃগাঙ্কমৌলি সরকার, সপ্তর্ষি পাল, প্রবীণ কুমারকে গ্রেফতার করে। পরে একাধিক ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার শঙ্কর পাল, সুব্রত দত্ত, ঠিকাদার সংস্থার কর্মী অমলকৃষ্ণ সাহা যাঁদের পুলিশ বিভিন্ন মামলায় ধরেছিল। মালদহের জেলাশাসক ও এসজেডিএ-র সিইও গোদালা কিরণকুমারকে গ্রেফতার করা হয়। জেরা করা হয় তৎকালীন চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য, বোর্ড সদস্য বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি চন্দন ভৌমিককে।