শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় গড়ে ওঠা উপনগরী এবং এসজেডিএ’র কাজকর্ম নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী এবং বর্তমান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উভয়কেই বিঁধলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, বাম জমানায় উপনগরী গড়তে দুর্নীতি এবং এসজেডিএ’র বর্তমান দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রী বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি দিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছেন। অথচ বাস্তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সক্রিয় নন বলে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ তোলে বিজেপি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য বিজেপি’র ওই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “এসব প্রশ্নের কোনও উত্তর দিনে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই প্রথম পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দলকে দিয়ে সমস্ত খতিয়ে দেখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নিতে হবে তা আমাদের জানা আছে, বিজেপি’র কাছ থেকে শিখতে হবে না। মাটিগাড়ার উপনগরীর ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। যথা সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর অভিযোগ, পাল্টা বিবৃতি প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর জবাব, “অশোকবাবুর বক্তব্যের জবাব দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই তা বহুবার বলেছি। এমনকী তার বক্তব্য নিয়ে কিছু বলার থাকলে দলের অন্য নেতারা তা বলবেন বলে জানিয়েও দিয়েছি।”
এ দিন রথীন্দ্রবাবু বলেন, “প্রাক্তন এবং বর্তমান মন্ত্রী অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ তুলে হইচই করছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে কি না তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। কেন না গৌতমবাবু বাম জমানায় চাঁদমণি চা বাগানে উপনগরী তৈরির ব্যাপারে বা অন্যান্য অনিয়ম নিয়ে এখনও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি।”
বিজেপি’র বক্তব্যে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর প্রতিক্রিয়া, “তৃণমূল, বিজেপি এক হয়ে গিয়েছে। একই সুরে গলা মেলাচ্ছে।” তাঁর দাবি, বাম জমানায় নিয়ম মেনে দরপত্র করে টোল গেটের বরাত দেওয়া থেকে সমস্ত কাজ হয়েছে। উপনগরীর কাজ নিয়ে জনস্বার্থে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মেনেই পরবর্তীতে সেই কাজ হয়েছে। এ দিন বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, বাম জমানায় পুরসভাতেও নানা অনিয়ম, দুর্নীতি হয়েছে এবং তা জন সমক্ষে প্রকাশ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন গৌতমবাবুরা। অথচ তারা সে ব্যাপারে কিছুই করতে পারেননি।