আচমকা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৩৪ টি গরু উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার রেলগেট এলাকায়। পাচারের অভিযোগে শনিবার চালক ও খালাসি সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছে।
এই নিয়ে গত এক মাসে দশ দফার বেশি পাচার হওয়ার আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল গরু। ওই সময়ের মধ্যে উদ্ধার হওয়া গরুর সংখ্যা বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, ফাঁসিদেওয়া দিয়ে গরু পাচার ইদানীং অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাচারকারীরাও অনেক বেশি সতর্ক। তাই চব্বিশ ঘন্টাই চোখ-কান খোলা রাখতে হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “এলাকায় নিয়মিত নজরদারি রাখা হচ্ছে। গরু পাচার রুখতে পুলিশ সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে।” ধৃতদের পশু নির্যাতন সহ, পাচার ও চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কিছুটা বিহার থেকে গরু আমদানি হচ্ছে ব্যপক হারে। এই গরুগুলো আকারে সাধারণ গরুর তুলনায় বড়। ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় গরুগুলো বিক্রি হয়। তাতে অন্তত ১০ হাজার টাকা লাভ থাকে। মূলত চ্যাংরাবান্ধা ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গার সীমান্ত দিয়ে গরুগুলো বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আটক হওয়া ট্রাকগুলির বেশিরভাগেরই হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের নম্বর। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের গাড়িও রয়েছে। তবে কম।
ফাঁসিদেওয়া থানার এক অফিসার জানান, অনেক সময়েই আসল পাচারকারী গরুর সঙ্গে আসে না। আগে থেকে ফোনে ‘ডিল’ পাকা হয়ে যায়। গাড়ির মালিককে মাল নিতে হবে বলে গাড়ি ঠিক হয়। বেশিরভাগ সময়েই মালিক মাল ওঠানোর সময়ে থাকেন না। ফলে চালককে টাকার লোভ দেখিয়ে গরু তুলে দেওয়া হয় ট্রাকে। তা পুলিশের চোখ এড়িয়ে পার হয়ে গেলেই কেল্লা ফতে। কখনও কখনও ধরা পড়ে গেলে মামলা চলে। আসল লোককে ধরতে না পারলে, চালক-খালাসিরা সর্বাধিক তিন মাস জেল খেটে ছাড়া পেয়ে যায়। দু’টি ক্ষেত্রে একই অভিযুক্তকে এক বছরে দু’বার গ্রেফতারের পর বিষয়টি পুলিশের নজরে এসেছে।