বাগডোগরা বাজারের নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরাতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে নামল স্থানীয় মানুষ। বৃহস্পতিবার বাগডোগরা বাজারের সামনে তিন ঘণ্টা ধরে সই সংগ্রহ করলেন তাঁরা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সই সংগ্রহ চলে। কয়েকশো সই সংগ্রহ করে নকশালবাড়ির বিডিও কিংশুক মাইতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। স্থানীয় জেমস স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে এই সই সংগ্রহ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দে বলেন, “বাজারের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে দরবার করা হয়েছে। স্বারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কাজ হয়নি। এ বার সই সংগ্রহ করে বিডিওর মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হচ্ছে।”
বাজারের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন বিডিও। তিনি বলেন, “বাজারের নিকাশির অবস্থা ভাল নয় বলে শুনেছি। আমাকে ওঁরা সমস্যার কথা জানিয়েছেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এই বাজার ডিআই ফান্ডের টাকায় তৈরি হয়েছিল। তাই জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ চাইছি।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগডোগরার এই মাছ ও সবজির বাজারটির বয়স প্রায় একশো বছরেরও বেশি। প্রায় ১৭ একর জমি নিয়ে বাজারের এলাকা। বাগডোগরা সহ আশপাশের ১ লক্ষ লোক প্রতিদিন এই বাজারে যাতায়াত করেন। এই বাজারের উপরে নির্ভর করে প্রায় এক হাজার মানুষ ব্যবসা করেন। কেষ্টপুর, হাঁসখোয়া, গোঁসাইপুর, বাগডোগরা, আশপাশে বেশ কয়েকটি চা বাগান, সেনা ও বায়ুসেনারা বাজারে আসেন।
এলাকায় প্রথম থেকেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। সময়ের সঙ্গে দোকান বেড়েছে বাজার ঘিঞ্জি হয়েছে। অবস্থা আরও শোচনীয়। বৃষ্টি না হলেও, শুধু মাত্র মাছের বাজারের ব্যবহৃত জলই বার হতে পারে না। ফলে সারা বছরই জল-কাদা পেরিয়ে বাজার করতে হয়। এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, “যা ব্যবসা তাতে জল ব্যবহার করতেই হয়। ক্রেতারাই বাজারে ঢুকতে চান না।” আপার বাগডোগরা এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান কর্মিলা টপ্পো জানান, দ্রুত বাজার উঁচু করে সুষ্ঠু জল নিকাশি ব্যবস্থা চালু করা হবে। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী এ সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।”