বিয়ের টোপ দিয়ে ফুঁসলে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পাঁচ দিন পরেও অভিযুক্তের খোঁজ পেল না পুলিশ। গত ৩০ জানুয়ারি শিলিগুড়ির খালপাড়া ফাঁড়িতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। গত ৪ জানুয়ারি বাড়িতে একা পেয়ে পড়শি এক যুবক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই যুবক এর আগেও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সহবাস করেছিল বলে অভিযোগ। তবে, সম্প্রতি বিয়ের কথা শুনলে যুবকটি এড়িয়ে যেতে থাকে বলে নাবালিকার পরিবারের দাবি। সে কারণে ওই যুবকের সঙ্গে নাবালিকা মেলামেশা বন্ধ করে দেয় বলে দাবি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সেই রাগেই গত ৩০ জানুয়ারি নাবালিকাকে একা পেয়ে যুবকটি বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে।
নাবালিকার চিত্কার শুনে এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা ঘটনার রাতে যুবককে ধরে ফেলে বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সকলের সামনে নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ওই ঘটনার পরদিন থেকে অভিযুক্ত যুবককে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। মাসখানেক ধরে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ না মেলায় তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে নাবালিকার মা। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নাবালিকার পরিবার। গত ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ দায়েরের তিন দিন পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বয়ান নথিবদ্ধ করেছে পুলিশ। ঘটনার সাক্ষী থাকা বাসিন্দাদেরও অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের তরফে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির এডিসিপি ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।”
এ দিকে, পরিবার সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির একটি কলোনি এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের বাসিন্দা ওই নাবালিকা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকার বাবা ভাড়া গাড়ি চালান, মা পরিচারিকার কাজ করেন। গত ৩০ জানুয়ারি বাবা-মা সহ তিন বোন জলপাইগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বুধবার দুপুরে নির্যাতিতার দাদা বলেন, “একে এতদিন পরে পুলিশ তদন্তে এল, তারপরে যে ভাবে অভিযুক্তের পরিবার টাকা দিয়ে এবং নানাভাবে সকলকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তাতে আমরা ভয়ে রয়েছি।” অভিযুক্তের বাবা অবশ্য অভিযোগ মানেননি।