তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র আন্দোলনের জেরে তিনদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক হল শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রণ বাজারের আলু,পেঁয়াজের গদিগুলি। এক শ্রমিকের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ নিয়ে গোলমালের জেরে কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনটির সদস্যরা। এতে গত শনিবার থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় আলু, পেঁয়াজ এবং রসুনের পাইকারি দোকানগুলি। ব্যবসায়ীদের তরফে বিষয়টি জানানো হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব কে। জানানো হয় পুলিশ-প্রশাসনকেও। শাসক দলের বন্ধ, ধমর্ঘটের রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ব্যবসায়ারীরা।
মঙ্গলবার শহরের স্টেশন ফিডার রোড লাগোয়া শিলিগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন আইএনটিটিইউসি এবং শিলিগুড়ি আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। এই বৈঠকেই সমস্যা মিটে যায় বলে সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে। মার্চেন্ট অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি ওমপ্রকাশ অগ্রবাল বলেন, “দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসায় এদিন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। পুজোর পর ক্ষতিপূরণের বিষয়টি স্থির হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
নিয়ন্ত্রিত বাজার সূত্রের খবর, গত ২৫ অগস্ট বাজারের এক শ্রমিক মারা যান। কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়ায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনটির তরফে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়। মালিকপক্ষের বক্তব্য ছিল, কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বাকিটা পুজোর পর দেওয়া হবে। তৃণমূলের সংগঠনটি তা মানতে চায়নি বলে অভিযোগ।
সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ ছিল, মালিকপক্ষ যে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন তা আদতে দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া বাকি টাকা নিয়েও তারা কথা বলতে চাননি । দুই পক্ষের এই টানাপোড়েনে বাজারের একাংশ বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা কোনও গদিতে কাজ না করায় ৫৩টি গদি বন্ধ হয়ে যায়। গত সোমবার এক দফায় বৈঠক হলেও সমস্যা মেটেনি।
এদিন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অরূপরতন ঘোষ বলেন, “মৃত শ্রমিকের পরিবারকে আগে ২২ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আরও ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীরা সম্মত হয়েছেন। শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলেছি।” আর শিলিগুড়ি আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাম অবতার প্রসাদ বলেন, “আলোচনায় সমস্যা মিটে গিয়েছে।”