জয়গাঁতে এক ঠিকাদারকে খুনের পরে থানায় গিয়ে জনতার তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্তাকে। প্রতিবাদে, আজ, বুধবার জয়গাঁয় ব্যবসা বনধের ডাক দিয়েছে সংগঠন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “রবিবার সকালে জয়গাঁ থানায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ও তিনটি গাড়িতে আগুন লাগায় উত্তেজিত জনতা। ওই ঘটনার পিছনে জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্তার উস্কানি ছিল। এদিন সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজরং লাল বারডিয়া বলেন, “পুলিশ কেন রামাশঙ্কর গুপ্তাকে গ্রেফতার করল বুঝতে পারছি না। উনি দুষ্কৃতী নন। আমরা জরুরি বৈঠক ডেকেছি।”
ওই ঠিকাদারকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সকালে ঝর্না বস্তি এলাকা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, রাজকুমার পান্ডের ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ আটহাজার টাকা ও ঘড়ি ছিনতাই করে তাঁকে খুন করেছে। ধৃতরা মাদকাসক্ত বলে পুলিশের সন্দেহ।
শনিবার রাতে জয়গাঁ বাজার থেকে দাড়াগাঁও এলাকায় বাড়ি ফেরার সময় ঝর্না বস্তির লাগোয়া এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন ঠিকাদার রাজকুমার পান্ডে। রবিবার সকালে উত্তেজিত জনতা জয়গাঁ থানায় পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ওই হামলায় যুক্ত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পরে ধরা হয় খুনে অভিযুক্ত এই দু’জনকে। জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি সি এস লেপচা বলেন, “রাজকুমার পান্ডে খুনের ঘটনায় ঝর্না বস্তির বাসিন্দা সাজ্জিত আলি ও আলিযুগ মিয়াঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে নিহতের ল্যাপটপের চার্জার ও মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে।” জয়গাঁ থানার ওসি কাশ্যপ রাই জানান, ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। ডিআইজি জানান, জয়গাঁ ও লাগোয়া এলাকার থানা দেখাশোনার জন্য একজন এসডিপিওকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।