জমি-জট নিয়ে মন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীদের

মন্ত্রীর সামনে শিল্প গড়তে না পারার ক্ষোভ জানালেন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীরা। মালদহের পলাশ সাহা, দিলীপ সরকার, রাজকুমার সাহা-র মতো দশ জনের বেশি শিল্পোদ্যোগী বাম আমলেও শিল্পের জন্য জমি কিনে ‘মিউটেশনে’র জন্য আবেদন করেছিলেন।

Advertisement

পীযূষ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫১
Share:

মন্ত্রীর সামনে শিল্প গড়তে না পারার ক্ষোভ জানালেন ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগীরা।

Advertisement

মালদহের পলাশ সাহা, দিলীপ সরকার, রাজকুমার সাহা-র মতো দশ জনের বেশি শিল্পোদ্যোগী বাম আমলেও শিল্পের জন্য জমি কিনে ‘মিউটেশনে’র জন্য আবেদন করেছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পরেও অফিসে ঘুরেও জেলার ওই শিল্পোদ্যোগীরা কেনা জমিগুলির মিউটেশন করাতে পারেননি বলে অভিযোগ। দশ বছর ধরে শিল্প গড়তে জমি কিনেও সরকারি বেড়াজালে জমির মিউটেশন না হওয়ায় জেলার শিল্পোদ্যোগীরা শিল্প গড়তে না পারায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পমন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সামনে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

রাজ্যের ক্ষুদ্র,ও কুটিরশিল্প এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য সিনার্জি গৌড়বঙ্গ আয়োজন করা হয়। মালদহ শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি ওয়াটার পার্কে ওই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “সরকারের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জেলার বেশ কয়েকজন শিল্পোদ্যোগী জমি কিনে ১০ বছর মিউটেশন করাতে পারেনি। এতে তাঁরা উত্‌সাহই হারিয়ে ফেলেছেন।” তিনি জানান, জমি সমস্যাই নয়, জেলার নারায়ণপুরে শিল্প তালুকে লো-ভোল্টেজের জন্য বহু ছোট কারখানায় উত্‌পাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত্‌ বন্টন কোম্পানির কাছে অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উজ্জ্বলবাবু স্বপনবাবুকে বিষয়গুলি জানিয়ে বলেন, “এ সব না করলে কেউ আসবে না।”

Advertisement

এই সব অভিযোগ শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বক্তৃতায় বলেন, “শিল্পোদ্যোগীদের দফতরে দফতরে ঘোরা বন্ধ হবে। আমরা তাঁদের কাছে যাব। হাতে হাতে জমির ওই সমস্ত কাগজপত্রের ব্যবস্থা করা হবে। লো-ভোল্টেজের সমস্যাও মেটানো হবে।” ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্ক ঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, “ব্যাঙ্কগুলি বড় বড় শিল্প সংস্থায় বেশি আগ্রহ দেখায়। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের ঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। বিষয়টিও আমরা দেখছি।”

মন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি সিনার্জিতে ৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব হয়েছিল। কিন্তু গৌড়বঙ্গ সিনার্জি শুরু হওয়ার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর ১১ কোটি, উত্তরদিনাজপুর ৩২৮ কোটি ও মালদহ ৪২৫ কোটি টাকার ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প বিনিয়োগের প্রস্তাব জমা পড়েছে। আরেক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী সরকারি অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যদি কোনও অফিসার শিল্প-প্রচেষ্টা বানচাল করার চেষ্টা করেন, তাহলে জেলা ছেড়ে যেতে পারেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement