জুলাইয়েই কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট চালুর তোড়জোড় চলছে। হেরিটেজ ভবনের একাংশ সংস্কার করে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই হাসপাতালে কর্মরত ৪ চিকিৎসক ও ৮ জন নার্স ইতিমধ্যে সিসিইউ পরিচালনার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুই মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ইউনিট চালুর জন্য ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তাদের প্রতিনিধি দল কোচবিহারে সিসিইউ পরিকাঠামোর অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। আগামী জুলাই মাসের শুরুতেই সিসিইউ চালুর করার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। সেই নির্দেশের পরেই, জরুরি ভিত্তিতে ওই ইউনিট চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভাশিস সাহা বলেন, “সিসিইউ তৈরির জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার জন্য ৮৪ লক্ষ টাকা মিলেছে। নির্দেশ মেনে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইউনিটটি চালুর চেষ্টা হচ্ছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে মোট ১২টি শয্যা থাকবে। তার মধ্যে আশঙ্কাজনক রোগীদের সরাসরি ভর্তির জন্য ৪টি শয্যা থাকছে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সিসিইউ ইউনিট থেকে হাই ডিসপেনসিভ ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে শয্যার সংখ্যা ৮টি। হৃদরোগ, দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম, সাপে কাটা কিংবা অন্য কোনও কারণে আশঙ্কাজনক রোগীকে ওই ইউনিটে ভর্তি করানো হবে। এ জন্য ৮ জন চিকিৎসক ও ১৫ জন চিকিসকের স্থায়ী পদের অনুমোদন পেয়েছে হাসপাতাল। আপাতত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ চালাবেন।
রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তথা ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “জেলার বাসিন্দাদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার ভাবনা থেকে ওই সিসিইউ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।” জেলা হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “সিসিইউয়ে ভেন্টিলেটর, মাল্টি চ্যানেল মনিটর সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসার নানা যন্ত্র রাখা হবে।”
দুর্ঘটনায় মৃত। পথ দুর্ঘটনায় এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে করণদিঘি থানার ডালখোলার নিশিথপুর এলাকাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। এ দিন ডালখোলার নিশিথপুর এলাকাতে ভোরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকেরা পুলিশকে খবর দেন। দেহটি দেখে পুলিশের অনুমান, কোনও গাড়ির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই মহিলা ভবঘুরে ছিলেন কী না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।