মোটরবাইকের সঙ্গে পুরসভার ট্রাক্টরের ধাক্কা লাগার ঘটনার পর ট্রাক্টর চালককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ৩ দিন কেটে গেলেও পুর কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ জানাতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার সময় বাসিন্দারা বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত বাইক চালক পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র উজ্জ্বল চৌধুরীর ভাগ্নে বলে পরিচয় দিয়ে তাঁদের সরে যেতে বলেছিলেন। পরে উজ্জ্বলবাবুও ঘটনাস্থলে যান। এবং বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সচেষ্ট হন বলে অভিযোগ। সে কারণেই পুরসভার উদাসীনতা নিয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। উজ্জ্বলবাবু অবশ্য গোড়া থেকেই বলছেন, আড়াল করার বা ঘটনা চাপা দেওয়ার ব্যাপার নেই। বরং তিনিই ওই কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে পরামর্শ দিয়েছেন।
পুরসভার সচিব সপ্তর্ষি নাগ বলেন, “পুরসভার পরিবহণ বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি। যে কর্মীকে মারধর করা হয়েছে এখন তিনি অস্বীকার করছেন। ব্যক্তি জানালে অভিযোগ করার বিষয়টি সহজ হতো।” বিজেপি’র জেলা সভাপতি রথীন্দ্র বসু বলেন, “পুরসভার ট্রাক্টর যিনি চালাচ্ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা দেখা পুরসভার দায়িত্ব। তা হলে এখন পুরসভার তরফে পুলিশে অভিযোগ জানাতে কোথায় বাধা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাক্টরটি পুরসভা ভাড়া নিয়েছে। তাই ঘটনা নিয়ে ট্রাক্টরের মালিক এবং চালকের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। ট্রাক্টর মালিক থানায় অভিযোগ জানাতে চাইছিলেন। পরে চালক তাকে জানান, তিনি বাবার সঙ্গে আলোচনা করে থানায় যাবেন। তবে পরে আর যাননি। ট্রাক্টর মালিক কিরণ রাউত মনে করেন পুরসভার তরফেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
পুরসভার এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা কংগ্রেস নেতা কাজল চন্দ, রুমা নাথরা। কাজলবাবু বলেন, “ওই চালক নানা কারণে অভিযোগ জানাতে ভয় পেতে পারে। অথবা তার বাবার সঙ্গে উজ্জ্বলবাবুর পরিচয়ের সুবাদে বা অর্থের বিনিময়ে মুখ বন্ধ করতে পারে। তাই বলে পুরসভার তরফে অভিযোগ জানানো হবে না এটা ঠিক নয়।” রুমাদেবী জানান, “কর্তব্যরত কর্মীকে মারধরের পরে পুরসভার অফিসাররা থানায় অভিযোগ না জানালে নানা সন্দেহ তো দানা বাঁধবেই।”