পুর-উপদেষ্টা নামে নয়া পদ সৃষ্টি করে তৃণমূল কর্মীকে নিয়োগের অভিযোগে বাম কাউন্সিলার সরব হলেন। বুধবার বালুরঘাট পুর চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহাকে তার অফিস ঘরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান আরএসপি এবং সিপিএমের কাউন্সিলরেরা। তাদের অভিযোগ, বোর্ড অব কাউন্সিলারদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে ওই কর্মীকে চেয়ারপার্সন অবৈধ ভাবে নিয়োগ করেছেন। পুরসভার উপদেষ্টা হিসাবে দু’বছরের জন্য মাসিক ১২,০০০ টাকা সাম্মানিকে নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরোধী নেতা প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ দিন ঘেরাও বিক্ষোভ হয়। পুর আইনের তোয়াক্কা না করে ওই পদ সৃষ্টি করে কর্মী নিয়োগ করা যায় কি না, বিরোধী নেত্রী সুচেতাদেবী জানতে চাইলে তৃণমূল চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা বলেন, “প্রয়োজন ছিল, তাই ওই কর্মীকে উপদেষ্টা নিয়োগ করেছি। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের ৫ জন সদস্য সিদ্ধান্তে মত দিয়েছেন। এতে শহরের সঠিক উন্নয়ন হবে।” যদিও পুরসভার দলীয় কাউন্সিলারদের একাংশে বিষয়টি নিয়ে চাপাক্ষোভ থাকলেও উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত কর্মী চেয়ারপার্সনের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে কেউই মুখ খুলতে চাননি। তবে দল সূত্রের খবর, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ গোটা বোর্ডের কাজকর্ম দেখা থেকে পরামর্শ দেওয়ার কাজ করবেন ওই কর্মী গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের ৫ জন সদস্য উপদেষ্টা পদের জন্য ওই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগ। নিয়োগ সংক্রান্ত চিঠি গত ৩ মার্চ এই পুরসভার কাউন্সিলারদের হাতে গিয়ে পড়লে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। বালুরঘাট পুরসভার ২৫ আসনে ১৪টি তৃণমূল এবং ১১টি ওয়ার্ড বামেদের দখলে ওই কর্মী নিয়োগের খবর দলের একাংশ কাউন্সিলারেরা জানতেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে চেয়ারপার্সন চয়নিকা দেবী বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলারদের সভায় ওই সিদ্ধান্ত পাশ করে নেওয়া হবে।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, একজন উপদেষ্টার দরকার ছিল। তাই তহবিল থেকে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা সাম্মানিক তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি।