গ্যাস-কাণ্ডে মামলা লঘু করার চেষ্টা

চম্পাসারিতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার নামে গাফিলতির অভিযোগ করেছে পুলিশ। গত ১৬ মে দায়ের করা ওই মামলায় গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার পাশাপাশি যাঁর নামে সংযোগ রয়েছে সেই সাধন পালের নামও আছে। সাধন পালের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৪ ০১:৩১
Share:

চম্পাসারিতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার নামে গাফিলতির অভিযোগ করেছে পুলিশ। গত ১৬ মে দায়ের করা ওই মামলায় গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার পাশাপাশি যাঁর নামে সংযোগ রয়েছে সেই সাধন পালের নামও আছে। সাধন পালের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাঁরা জানান, তথ্য যাচাই না করেই অভিযোগে সাধনবাবুর নাম ঢোকানো হয়েছে। এর ফলে মামলাটি লঘু হয়ে যেতে পারে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন জানান, তদন্তে সঠিক তথ্য খুঁজে দেখা হবে। দ্রুত তদন্ত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত ২ মে চম্পাসারির বাসিন্দা উত্তম সাহার বাড়িতে আগুন লাগে। উত্তমবাবু, তাঁর স্ত্রী আদরীদেবী এবং ১২ বছরের মেয়ে বন্দনা দগ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে লিক থাকা সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়েছিলেন উত্তমবাবু। এই ঘটনার পরে তদন্ত চেয়ে মৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়। কার গাফিলতিতে লিক থাকা সিলিন্ডার সরবারহ করা হয় তা নিয়েও তদন্ত দাবি করা হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পরিবারের গ্যাস সংযোগ না থাকলেও এলাকারই বাসিন্দা সাধন পালের নামে থাকা সিলিন্ডার তাঁরা ব্যবহার করতেন। ঘটনার তদন্ত দাবি করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা সহ শিলিগুড়ির বৃক্ষ, পশু, মানুষ বন্ধু সমিতি নামে সংগঠন আন্দোলন শুরু করা হয়। চাপে পড়ে ১৫ মে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।

Advertisement

গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার পক্ষে পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে নিজের নামে থাকা সংযোগ অন্য ব্যক্তিকে ব্যবহার করার পাল্টা অভিযোগ করা হয়। তাই সাধনবাবুর নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয় বলে পুলিশের দাবি। গ্যাস সরবারহকারী সংস্থার কর্ণধার বাপি দাস বলেন, “পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করেছি। আমাদের গাফিলতি নেই, সেটাও পুলিশকে জানিয়েছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করা সাধনবাবু আইনি বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর হয়ে সংগঠনে পরামর্শদাতা আইনজীবী অলোকশ চক্রবর্তী বলেন, “সাধনবাবু ও আদরীদেবী ভাই-বোন। তাঁরা একই গ্যাস ব্যবহার করতেন। যাঁর নামে সংযোগ তার গাফিলতি থাকবে কী ভাবে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement