ভর্তির ফর্ম তোলা এবং জমা করতে পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য শিবির করা নিয়ে গোলমালের জেরে রড, বেল্ট দিয়ে এসএফআই-এর উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। সোমবার শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় এসএফআই-এর দুই ছাত্র জখম হন। তাঁদের এক জনকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর নাম সন্তোষ সাহানি। তাঁর ঘাড়ে চোট লেগেছে। অপর জন নন্দন ভট্টাচার্য। তাঁর মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারা হয়েছে। বাঁ দিকের চোখের কাছে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, ভর্তির সময় পড়ুয়াদের সাহায্য করতে কলেজের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফেই শিবির করা হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকেরা শিবির করলেও অন্য ছাত্র সংগঠনকে শিবির করতে দিচ্ছে না। এসএফআই-এর ছেলেরা ক্যাম্পাসে ঢুকে শিবির করতে গেলে তাদের মারধর করে তাড়ানো হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ সুতপা সাহা এ দিন বলেন, “এ ধরনের কোনও ঘটনা জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। ক্যাম্পাসে পুলিশ ছিল। তা ছাড়া আমি নিজেই ক্যাম্পাসে ছিলাম। কলেজের মধ্যে মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির ওসি অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানান, অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জখম ছাত্র নন্দন পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। শিলিগুড়ির নানা কলেজে এসএফআই-এর ছাত্র সংগঠনে এখন কার্যত কেউ নেই। তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। পায়ের তলায় জমি না পেয়ে এসব বলছে। ঘুমের ঘোরেও তারা দেখছে রড, বেল্ট দিয়ে তৃণমূলের লোক তাদের মারছে।”
এ দিন ঘটনার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে দুষছেন এসএফআই নেতৃত্ব। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তি হচ্ছে। সেই জন্য কলেজে আমাদের ছাত্র সংগঠনের শিবির হয়। অথচ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আমাদের ছাত্রদের থাকতেই দিচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। অথচ কর্তৃপক্ষ তা করছেন না।”