রাজস্ব-হার বাড়ানোর প্রতিবাদ

কর্মবিরতিতে বহির্বাণিজ্য বন্ধ চ্যাংরাবান্ধায়

রাজস্বের হার বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুই দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ, সোমবার তাঁরা শিলিগুড়িতে শুল্ক দফতরের অতিরিক্ত কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০২:০৭
Share:

রাজস্বের হার বাড়ানোর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুই দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ, সোমবার তাঁরা শিলিগুড়িতে শুল্ক দফতরের অতিরিক্ত কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাতেও সুরাহা না হলে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আমদানি-রফতানি ধর্মঘট ডাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি। তাঁদের অভিযোগ, “অন্য সীমান্তগুলিতে যে হারে শুল্ক দফতর রাজস্ব আদায় করছে চ্যাংরাবান্ধায় তার দ্বিগুণ হারে রাজস্ব আদায়ের নোটিস জারি করা হয়েছে।”

Advertisement

শুল্ক দফতরের সুপারিন্টেডেন্ট দেবাশিস ধর বলেন, “বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়িতে অতিরিক্ত কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সোমবার তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হবে। আমাদের পক্ষে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।” এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক অজয় প্রসাদ বলেন, “চ্যাংরাবান্ধা ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসা বন্ধে একটি চক্রে সক্রিয়। সে জন্য পরিকল্পিত ভাবে ওই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।”

শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার শুল্ক দফতরের শিলিগুড়ির অতিরিক্ত কমিশনার সহ এক প্রতিনিধি দল চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পরই তিনি একটি নির্দেশ জারি করেন। আমদানি-রফতানিকারীরা জানিয়েছেন ওই দিন বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিকের চেয়ার এবং সিন্থেটিকের মশারির দুটি গাড়ি ভারতে আসে। ওই প্রতিনিধি দল সমস্ত পণ্য খতিয়ে দেখার পর ওই দুটি জিনিসের উপরেই রাজস্ব দ্বিগুণ করে দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্লাস্টিক চেয়ারের এক টনের মূল্য ধার্য ছিল ১৮০০ ডলার বা ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। তার উপর শুল্ক দফতর ১৫৮০০ টাকার মত রাজস্ব নেয়। সিন্থেটিক মশারির ক্ষেত্রেও একই হারে মূল্য ধার্য করে রাজস্ব আদায় করা হত। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্লাস্টিক চেয়ার ১ টনে মূল্য ধরা হয়েছে ৩৬০০ ডলার। সেই হারে রাজস্ব বেড়ে গিয়েছে দ্বিগুণ। মশারির ক্ষেত্রে এক টনের মূল্য ৪৫০০ ডলার। সেক্ষেত্রেও রাজস্ব বেড়ে যাবে। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, পরিদর্শনে গিয়ে শুল্ক দফতরের অফিসারদের হাতে কিছু তথ্য এসেছে। তার থেকে নতুন রাজস্ব ধার্য হয়েছে।

সীমান্ত বাণিজ্যে রাজস্ব ধার্য করেন শুল্ক দফতরের মুখ্য কমিশনার। সে হিসাবে মেহেদিপুর, হিলি সহ রাজ্যের সব ক’টি সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্রে একই হারে রাজস্ব আদায় করা হয়। এবারেই শুধু চ্যাংরাবান্ধার ক্ষেত্রে রাজস্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের এক কর্তা বলেন, “এটা থেকে পরিষ্কার পরিকল্পিত ভাবে চ্যাংরাবান্ধার বাণিজ্যের ক্ষতি করার চেষ্টা হচ্ছে।” কর্মবিরতির জেরে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ ছিল। তবে ভুটান-বাংলাদেশের ব্যবসা ওই পথে চলেছে। ওই দুই দেশে আমদানি রফতানিকারী ব্যবসায়ীদের সংগঠনের তরফে জানাননো হয়, রাজস্ব একই হারে না নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। প্রশাসন, শুল্ক দফতরকে বুঝতে হবে। বহু মানুষ এর উপর নির্ভরশীল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement