এমএমএস-কাণ্ডে ধৃত আরও এক

ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা এবং এমএমএস বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার আশরফনগরে নিজের বাড়ি থেকেই শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহম্মদ ওয়াকার আলিকে গ্রেফতার করে। তার কম্পিউটার থেকেই এমএমএস তৈরি করা হয়েছিল বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত শাহবাজ বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪১
Share:

ফেসবুকে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা এবং এমএমএস বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার মামলায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার আশরফনগরে নিজের বাড়ি থেকেই শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মহম্মদ ওয়াকার আলিকে গ্রেফতার করে। তার কম্পিউটার থেকেই এমএমএস তৈরি করা হয়েছিল বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে মূল অভিযুক্ত শাহবাজ বলে পুলিশের দাবি। কম্পিউটারটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এসিপি তপন আলো মিত্রের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে। এসিপি বলেন, “প্রথমে এমএমএস তৈরির কথা অস্বীকার করলেও টানা জেরায় সে স্বীকার করেছে।” ধৃতকে শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে। তাকেও পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানাবে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে।

ওয়াকারের গ্রেফতারে খুশি ওই ছাত্রী। তাঁর দাবি, “ওয়াকার ঘটনার সমস্ত কিছু জানে। এমএমএস বানাতে ওই সাহায্য করেছে তাও আমি জানি। পুলিশ ওকে জেরা করলেও সমস্ত জানতে পারবে।”

Advertisement

এ দিন নির্যাতিতা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার পুলিশি ঘেরাটোপে তাঁর পরীক্ষা করা হয়। এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্ত রকম আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেন দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার। শনিবার বিকেলে গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলবেন জেলা লিগাল এড ফোরামের সভাপতি তথা জেলা অতিরিক্ত মুখ্য বিচারক অজয় দাস বলে ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ওই ছাত্রী পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নয় বলেও এদিন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ফোরামের সভাপতির কাছে অভিযোগও জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন প্রাক্তন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য জ্যোৎস্না অগ্রবালও বলে জানিয়েছেন তিনি। অমিতবাবু বলেন, “আমরা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ছাত্রীটিকে নিয়ে যাওয়া হবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ এর এপ্রিল থেকে বিভিন্ন নম্বর থেকে ওই ছাত্রীর মোবাইলে ফোন আসে। ফোন করে কটূক্তি করা হয়। গত জানুয়ারিতে তিনি জানতে পারেন, ফেসবুকে একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। তাতে তাঁর ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাতে তাঁকে ফোন করার কথা বলা হয়েছে। অ্যাকাউন্টটি তৈরি হয়েছে এপ্রিল মাসে। ঘটনা জানার পরেই তিনি প্রধাননগর থানায় ১৭ জানুয়ারি সমস্ত অভিযোগ লিখিতভাবে জানান। এরপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

এরপরে গত সপ্তাহে শহরের সূর্যসেন কলেজের সামনে তাঁকে একা পেয়ে তাকে মারধর করে অভিযুক্ত বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর ২০১২ এর গোড়ায় আলাপ ও ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বলে জানা গিয়েছে। কয়েক মাস পর থেকে শাহবাজের আচার আচরণ পছন্দ না হওয়ায় সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন না তিনি বলে জানান ওই ছাত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement