দার্জিলিং জেলায় পাহাড় ও সমতলের রাস্তায় পুরোদস্তুর ‘নো রিফিউজাল ট্যাক্সি’ পেতে বাসিন্দাদের আরও মাস দেড়েক অপেক্ষা করতে হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ওই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সাধারণ মিলিয়ে প্রায় এক হাজার ট্যাক্সি রাস্তায় নামবে বলে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এখনও মাত্র ৫০টি ট্যাক্সির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। ঋণের জন্য অধিকাংশ আবেদনকারীর নথিপত্র বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে আটকে থাকাতেই এই সমস্যা।
চলতি মাসের শুরুতেই পুজোর ছুটি আর সমস্ত ব্যাঙ্কের অর্ধ-বর্ষ হিসেবের ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “সেপ্টেম্বর মাসের শেষেই ট্যাক্সিগুলি রাস্তায় নামানোর জন্য আবেদনকারীদের বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া ও ছুটি থাকার জন্য ঋণ পেতে দেরি হচ্ছে। পুজোর ছুটির পর পরিবহণ দফতরে বিষয়টি জানিয়ে সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত জুন মাসে জেলার সমতলে এক হাজার ও পাহাড়ের দার্জিলিং ও কালিম্পং মহকুমার জন্য দু’শোটি ‘নো রিফিউজাল ট্যাক্সি’র লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সমতলের এক হাজার ট্যাক্সির জন্য ১৫৪৫টি এবং পাহাড়ের জন্য ২৯০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। গত পয়লা সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি ও কালিম্পঙে প্রকল্পের সূচনা করেন। এক মাসের মধ্যে সমস্ত পদ্ধতি সম্পূর্ণ করে গাড়ি রাস্তায় নামবে বলেও জানানো হয়েছিল। গাড়ি কেনার জন্য শ্রম দফতরের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা ভর্তুকিরও ঘোষণা হয়। এরই মধ্যে প্রত্যেক আবেদনকারীকে ‘অফার লেটার’ দেওয়া হয়। আবেদনকারীদের কয়েক জন বলেন, “সমস্ত বিষয় আগাম দেখেই সময়সীমা ঠিক করা উচিত ছিল পরিবহণ দফতর ও প্রশাসনের। তা না হওয়ায় সমস্যা হয়েছে।” সমস্যা কাটিয়ে মাস দেড়েকের মধ্যে ট্যাক্সি রাস্তায় নেমে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দার্জিলিং জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য মদন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ছুটির পর ব্যাঙ্ক খুলতেই যাতে আবেদনকারীরা ঋণ পেতে পারেন তা দেখা হচ্ছে।”