উৎসাহী ক্রীড়া ও বাণিজ্য মহল

প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা জেলা সিপিএমের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য আসন্ন শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলের তরফে এই ঘোষণা হতেই শহরের বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। শহরের ক্রীড়া মহল থেকে ব্যবসায়ী মহল সর্বত্রই চলছে নানান আলোচনা। কারণ, বাম জমানায় বিধায়ক হয়ে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী হওয়ার আগে শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই তাঁকেই এ বার বামেরা মেয়র হিসেবে তুলে ধরছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৫ ০২:৪১
Share:

প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা জেলা সিপিএমের আহ্বায়ক অশোক ভট্টাচার্য আসন্ন শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। দলের তরফে এই ঘোষণা হতেই শহরের বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। শহরের ক্রীড়া মহল থেকে ব্যবসায়ী মহল সর্বত্রই চলছে নানান আলোচনা। কারণ, বাম জমানায় বিধায়ক হয়ে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী হওয়ার আগে শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সেই তাঁকেই এ বার বামেরা মেয়র হিসেবে তুলে ধরছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের টিমের বিরুদ্ধে অশোকবাবুর টিম। এ বার তা হলে এই লড়াই দেখবে শহর? এই নিয়েই গুঞ্জন, আলোচনায় দিন গড়িয়েছে শহরে।

Advertisement

ক্রীড়া জগতের অনেকেরই পছন্দের মানুষ ছিলেন অশোকবাবু। অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত, কমনওয়েলথে সোনাজয়ী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় শুভজিত সাহা যেমন এ দিন বলেন, “অশোকবাবু জিতলে ভালই লাগবে। উনি মন্ত্রী থাকাকালীন খেলাধূলো নিয়ে উৎসাহ দিতেন। এখনও ওঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে।” প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কোচ জয়ন্ত ভৌমিক বলেন, “ওঁকে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখেছি। মন্ত্রী হিসেবেও দেখেছি। যখনই সুযোগ পেয়েছেন খেলার উন্নতির জন্য চেষ্টা করেছেন। উনি মেয়র হলে খেলার জন্য ভাববেন বলে আশা করছি।” বস্তুত ক্রীড়া মহলের একাংশ এখনও তাকে নিয়ে আশাবাদী। অনেকে আবার বক্তব্য রাখার ব্যাপারে সতর্ক। আইএএফ’এর কোচ জয়ব্রত ঘোষ বলেন, “আমরা খেলার দুনিয়ার লোক। নির্বাচনে যেই জিতুন, খেলার জন্য চিন্তা-ভাবনা করবেন সেটাই আশা করি।”

ব্যবসায়ী মহল কী ভাবছে? ফেডারেশন অব চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, নর্থ বেঙ্গল (ফোসিন)-এর সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, “ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার সবারই রয়েছে। তা ছাড়া অশোকবাবুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জিতলে ভাল লাগবে।” কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)-এর উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান প্রবীর শীলের কথায়, “এটি নিতান্তই রাজনৈতিক বিষয়।” তবে তিনি মনে করেন, শিলিগুড়ির জন্য এক সময় অশোকবাবু কাজ করেছেন। জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর ভাল ভাবমূর্তি রয়েছে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা শিল্পদ্যোগী কমল মিত্তল বলেন, “আমরা চাই যাঁরাই জিতে আসুন শহরের উন্নয়নে আরও বেশি সচেষ্ট হবেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement