মেখলিগঞ্জ নিয়েও একটু ভাবুন
মেখলিগঞ্জ কোচবিহার জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী মহকুমা। জেলা থেকে মহকুমার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। এর ফলে কোচবিহার থেকে কোনও সরকারি কাজ নিয়ে বা প্রোমোশনের অর্ডার হলে সরকারি কর্মচারীদের ভাল রকম অসুবিধায় পড়তে হয়। তেমনই মেখলিগঞ্জের কর্মচারীদের সাধারণ মানুষের কোনও কাজে কোচবিহার জেলায় যেতে হলে গাড়ি ভাড়া বা বেসরকারি গাড়ির উপর ভরসা করে যাতায়াত করতে হয় এবং সেটা মনে হয় একরকম শাস্তিস্বরূপ। মেখলিগঞ্জবাসীরা কোনও রকম প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে এটা মেনে নিয়েছেন। মেখলিগঞ্জ পকেট রুট বলে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে। তামাক-পাট-সহ অন্যান্য ব্যবসায় তাদের অন্য জেলার উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। ব্যবসায়ীরাও এ জন্য ভীষণ হতাশাগ্রস্ত। পাট-তামাক বিক্রি করে তাঁরা ভাল মুনাফাও করতে পারেন না। এই মহকুমার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগও নেই। কেউ দোকান, কেউ টিউশন বা ঠিকাদারি ব্যবসা করে পেটেভাতে বেঁচে রয়েছেন। এখানে নামীদামি স্কুলও নেই। শিক্ষার পরিকাঠামোও সেই ভাবে তৈরি হয়নি বলে এখানকার ছাত্রছাত্রীর পিছিয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও ভয়াবহ অবস্থা। কঠিন কোনও রোগ হলে শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ি ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।
মেখলিগঞ্জ মহকুমার পুর এলাকার লোকজনদের ঘরে বসে টিভি দেখা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। সাংস্কৃতিক চেতনাসম্পন্ন মানুষেরও কোনও খোরাক নেই। তাই মেখলিগঞ্জ অন্যান্য মহকুমা থেকে সব দিকেই পিছিয়ে। অতএব এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, উন্নয়নমন্ত্রী সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাজু সরখেল, মেখলিগঞ্জ।
জলপাইগুড়ি কোথায় রেল পরিষেবায়
স্বাধীনতার পর থেকেই সুষ্ঠু রেল পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জলপাইগুড়িবাসী যথেষ্ট কোণঠাসা। দীর্ঘদিন পরেও অবস্থার কোনও হেরফের ঘটেনি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন তৈরি হবার পর শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির মধ্যে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ (নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন হয়ে) স্থাপিত হয়েছে যা খুবই বিরক্তিকর ও সময়সাপেক্ষ। প্ল্যাটফর্মের অভাবে (যদিও নতুন প্ল্যাটফর্মের জায়গার অভাব নেই) কোনও ট্রেনের পক্ষেই স্টেশনে ঢোকা বা বের হওয়া সহজে সম্পন্ন হয় না। এমনকী ডেমু ট্রেনের ব্যবস্থাও তেমন কাজে আসেনি। এই অবস্থায় বিকল্প উপায়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শিলিগুড়ি টাউন স্টেশনের আউটার সিগনাল (এনজেপি-র দিকে) থেকে মেন লাইন পর্যন্ত নতুন লাইন বসিয়ে জুড়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। দুই শহরের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনের তখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ঢোকার বাধ্যতা থাকবে না। রেল কর্তৃপক্ষও প্রশাসনিক জটিলতার প্রশ্ন তুলতে পারবে না। কেননা হাতের কাছেই কুমেদপুর স্টেশন। সেখানে স্টেশনে না ঢুকেই নিউ জলপাইগুড়ি ও কাটিহার স্টেশনে ট্রেন যাতায়াত করে চলেছে। প্রসঙ্গত, কাটিহার থেকে গুয়াহাটি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ চলছে। তার আগেই এই রেলপথের সংযুক্তিকরণের কাজটি সমাধা হলে এবং বৈদ্যুতিকীকরণের আওতায় এলে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহর যথেষ্ট কাছাকাছি এসে যাবে।
চন্দন নাগ সেবক রোড শিলিগুড়ি
প্রকাশ্যে পশু হত্যা বন্ধ হোক
প্রতি রবিবার কোচবিহার শহরের অনেক তেপথী ও চৌপথীর মোড়ে প্রকাশ্যে খাসি, পাঁঠা হত্যা করে মাংস বিক্রি করা হয়। এই প্রকাশ্য হত্যালীল,া বিশেষ করে শিশুদের মনে ভীতি ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা সুস্থ বিকাশের অন্তরায়। অবাঞ্ছিত এই হত্যার দৃশ্য সভ্যতার পরিপন্থীও বটে। তা ছাড়া পশুগুলির সুস্থতার প্রমাণপত্র বা শংসাপত্র থাকে বলেও মনে হয় না। অতএব এ বিষয়ে পশুপ্রেমী সংগঠন, জেলা ও পুর-প্রশাসনের মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রামনাথ মজুমদার, নেতাজি কলোনি, কোচবিহার।
ওষুধের নিয়ন্ত্রণ
সংবাদে প্রকাশ, মোদী সরকার ১০৮টি জীবনদায়ী ওষুধের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলোর হাতেই ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তুলে দিতে তত্পর হচ্ছে। এটা বাস্তবায়িত হলে আমআদমির পকেট জোর ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা। বিগত ইউপিএ-২ সরকারের আমলে কিছু জীবনদায়ী ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বাজারে সব রকমের ওষুধের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছিল। এ নিয়ে মিডিয়া ও ড্রাগ সংগঠনগুলি কিন্তু কম সরব হয়নি। এখন কোনও অজ্ঞাত কারণে, কর্মসংস্থানের দোহাই দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধের ওপর নিয়ন্ত্রণ তুলে সাধারণ মানুষকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিতে মোদী সরকার দ্বিধাবোধ করল না। এটা মোদীর কাছ থেকে একদম অপ্রত্যাশিত ছিল। কাদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত? ওষুধ সংস্থাগুলি জনগণের মাথায় হাত বুলিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। কোথায় গেল মোদীর নির্বাচনী প্রতিশ্রতি? তবে কি, যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ? ভারতের রাজনীতিতে এটাই কি ধ্রুব সত্য!
অরবিন্দকুমার সেন, মহামায়াপুর, জলপাইগুড়ি